সাখাওয়াত হোসেন শামীম,হাজীগঞ্জ(চাঁদপুর) সংবাদদাতা:
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ ইউনিয়নে অবস্থিত প্যারাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯১৪ সনে স্থাপিত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই বিদ্যালয়ে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও খোলা আকাশের নিচে চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় শত বছরের পূরাতন প্রতিষ্ঠান প্যারাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৯৪/৯৫ সনে ৪ লাখ ৯৩ হাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক ৪ রুম বিশিষ্ট একটি ভবন তৈরী করে। কিন্তু ভবন তৈরীতে অনিয়ম থাকার কারণে অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ভবনটি পরিত্যাক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে কৌমলমতি শিশুদের পাঠদান। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়ের একটিমাত্র ভবনে একটি অফিস রুম আর ৩টি ক্লাশ রুম। ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্লাশ করছে। এমনকি বিদ্যালয়ে টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকাতেও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হয় বিপাকে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেন জানান, ভবন ও ক্লাশরুম সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে ২টি শিপটে ক্লাশ নিতে হচ্ছে। এমনকি বাহিরে খোলা আকাশের নিচেও ক্লাশ নিতে হয়। বিদ্যালয়ের ভবন তৈরীর জন্য হাজীগঞ্জ শাহ্রাস্তি নির্বাচনীয় এলাকার সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তর ও স্থানীয় প্রেকৌশলী অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ে সমাপনী পরীক্ষায় প্রতি বছরই ভাল ফলাফল করছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি অভিভাবক শূন্য। গত ৩ মাস পূর্বে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তফা তফাদার প্রবাসে চলে যান।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ জানান, বিদ্যালয়ের ভবন ও ক্লাশরুম সংকটের কারণে কোমলমতি শিশুদের খোলা আকাশের নিচে ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করছে। আমরা প্রতিনিয়তই শিশুদেরকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকি। তাই অতীব জরুরী ভিত্তিতে একটি ভবন তৈরী করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে মাননীয় এমপি মহোদয় ও শিক্ষামন্ত্রনালয়ের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
শিরোনাম:
বুধবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।