এম. সাখাওয়াত হোসেন মিথুন:
হাজীগঞ্জ বাজারের উপর দখল করে নিয়েছে সিএনজি,অটোরিঙ্া ও হকাররা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারের রাস্তা ও ফুটপাত আবারো হকারদের দখলে চলে গেছে। ফলে প্রতি মূহুর্তে ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
দেখা যায় কোন কোন সময় মন্ত্রী বা সরকারি বড় কর্মকর্তা যাতায়াত করার সময় থানা পুলিশ ক্ষণিকের জন্যে রাস্তা পরিষ্কার করলেও পরে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজট মুক্ত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়র বরাবর মিটিং করে নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। এসব উদ্যোগের কারণে কয়েক মাস হাজীগঞ্জ বাজার যানজটমুক্ত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা আবারো পূর্ব অবস্থায় চলে এসেছে।
বাজার হকারমুক্ত করার জন্যে পশ্চিমবাজার হকারদের জন্যে জায়গা করে দিলেও তারা অল্প কয়েকদিন সেখানে থাকে। পরে আবারো জড়ো হয়ে বাজারের মূল সড়কের দু’পাশে এসে রাস্তা দখল করে নেয়। যার ফলে হাজীগঞ্জ বাজার যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না। হাজীগঞ্জ বাজারের তৃপ্তি হোটেল, গাউছিয়া হোটেল, ষ্টেশন রোডের মুখামুখী অংশে সিএনজি, অটোরিঙ্া, মেঙ্ িষ্ট্যান্ড বানিয়ে নিয়েছে চালকগন।
ব্যবসায়ীরা কয়েক বছর যাবত দাবী করে আসছে হাজীগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশ দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা করার জন্য আর এই বাইপাস রাস্তা করলে দু’দিকের যানবাহন দু’রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবে। অথবা হাজীগঞ্জ পশ্চিমবাজার বিশ্বরোড থেকে পূর্ববাজারে ব্রীজের কাছ পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে সকল ক্ষেত্রে সুবিধা হবে কিন্তু অতীতের সরকার হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের বা সাধারণ মানুষের জন্যে কোন রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
সি.এন.জি অটোরিঙ্া যাত্রীদের কাছে ভাড়া বেশী আদায় করার মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন হাজীগঞ্জ বাজারের সি.এন.জি অটোরিঙ্া চালাকরা নিজেদের মনমতো ভাড়া আদায় করে থাকেন। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া কত টাকা তা তাদের জানা নেই। কিন্তু বাজার থেকে আলিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ভাড়া দিতে হয় ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা। তারপরেও যাত্রীদের সাথে নানা ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়। ভোক্তভোগী যাত্রীরা আরো অনুরোধ জানায় পৌরকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে পৌরসভা থেকে যদি প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে একটি করে ভাড়ার তালিকা টানানো হয় তাহলে যাত্রী এবং সিএনজি অটো চালক সকলেরই সুবিধা ভোগ করতে পারত। বাগ বিতর্ক কতনা যাত্রীও চালকগনের সাথে, ভোগান্তির স্বীকার থেকে মুক্তি পেত যাত্রীগন। তাহলে সিএনজি ও অটোরিঙ্া চালকরা তাদের মনমতো ভাড়া আদায় করতো না।
ট্রাপিক পুলিশ ঘন্টার পর ঘন্টা বৃষ্টিতে ভীজে রোধে শুকিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজট মুক্ত রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হওয়ার কারন স্থানীয সিএনজি অটোরিঙ্ার মালিক ও হকারগণ তাই নিরসন করা সম্ভাব হচ্ছে না। তারা এলাকার প্রভাব খাটিয়ে সড়কের উপর দখল করে বসে। থানা পুলিশ একের পর এক সিএনজি অটোরিঙ্া ও ভ্যানের উপর থাকা ভ্রাম্যমান ফলের দোকান বহুবার থানায় আটক করে রাখলেও কোন সুরাহ হয়নি।
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর হাজীগঞ্জ বাজার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের উপর সিএনজি, অটোরিঙ্া, হকার থাকার কারনে যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় হাজীগঞ্জ বাজার পার হওয়ার সময়। অনেক সময় দেখা যায় রামগঞ্জ, গরীপুর, সড়কের সামনে থেকে বোয়াজুড়ি খালের উপরের ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা পর্যন্ত বাজার রাস্তা প্রদক্ষিণ করে গাড়ী পারাপার হতে প্রায় সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। এতে করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুরের দূরপাল্লার যাত্রীগন গাড়ীতে বসে ভোগান্তির স্বীকার হয়। হাজীগঞ্জ বাজারের উপর থামানো সিএনজি, অটোরিঙ্া ও হকার পূর্বের মত আবারও জানযট নিরশনের জন্য প্রদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ