প্রতিনিধি-
জেলার হাজীগঞ্জ বাজারে আগুনে পুড়ে ১০ ব্যবসায়ীর প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে আট ঘটিকায় হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পাটের গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এক দমকল বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয় ১০ জন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওইসময় হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ছাড়াও শাহরাস্তি, কচুয়া ও চাঁদপুর সদরের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দেয়।
আহতরা হলেন, কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মী আবু হোরায়রা (২৪), সিদলা গ্রামের আবদুর রহমান (২৫), টোরাগড় গ্রামের মো. স্বপন (৩০)সহ আরো কয়েকজন। আহতরা হাজীগঞ্জ বাজারের বিসমিল্লাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুড়ে যাওয়া পাটের গুদাম গুলোর মধ্যে বারেক মিয়ার ২ হাজার মণ, আবদুর রবের ২ হাজার মণ, সফিক আহমেদের ৫’শ মণ, বাদশাহ মিয়ার ২ হাজার মণ, মো. ফজলের ১ হাজার মণ, সাত্তার মিয়ার ৫’শ মণ। পরিত্যাক্ত প্লাষ্টিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আক্কাছ আলীর ৭০ টন মালামাল , মিজানুর রহমানের ৮০ টন মালামাল, শরীফ এন্টার প্রাইজের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি ও হারেছ মিয়ার তুলার কারখানা, তালুকদার ফার্নিচার, আবদুল মান্নানের ফার্নিচারের দোকানে আংশিক্ ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কাজী জয়নাল জানান, ‘বাদশাহ মিয়ার পাটের গুদাম থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়। দশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আগুনের লেলিহানে প্রায় পাঁচটি ছাগল মারা গেছে।’
উদ্ধারকর্মী মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বালতি দিয়ে পানি সরবরাহ করেছি। আগুণের সাথে প্রায় দেড় ঘন্টা যুদ্ধ করেছি।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, জেলার চারটি ইউনিটের প্রায় ৬৫ জন কর্মী , স্থানীয় শতাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ দেড় ঘন্টা ব্যাপী এই আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার বলেন, চাঁদপুর সদরের ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিদর্শক রতন কুমার নাথসহ শাহরাস্তি, কচুয়া ও ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দেয়। এছাড়া হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলমসহ পুলিশ বাহিনী আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে আগুনের ঘটনার পর থেকে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট লেগে হাজারও যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।