শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩নং হানারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবু ছৈয়ালকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টায় মডেল থানার এস.আই জাহাঙ্গীর, ফিরোজ, ওমর ফারুক, এ.এস.আই নন্দন সরকার, আহসানুরজাম্মান লাবু, গোপাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোবিন্দা গ্রামে ছৈয়ালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হাবু ছৈয়াল (৫৫) ও বাচ্চু দর্জি (৪০) কে আটক করে। পুলিশ লক্ষ্মীপুর গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় একটি চাঁদপুর থ-১১০৭৩৯ সিএনজি অটো রিক্সা ধাওয়া করে দেশীয় অস্ত্র সহ চালক রাজুকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাবু ছৈয়ালের বড় ছেলে ও বহিরাগত আরো ২জন একটি রিভালবার নগদ ১লক্ষ ৯৫ হাজার ও বেশ কিছু ককটেল নিয়ে পালিয়ে যায় বলে সিএনজি চালক পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবু ছৈয়াল গ্রেফতার হওয়ায় হানারচর ইউনিয়নের রাতে আবারো দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ অবশেষে হাবু ছৈয়ালকে ছেড়ে দেয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সামনে দূরবৃত্তরা আতির্কিত হামলা চালিয়ে হাবু ছৈয়ালকে আহত করে। সেই ঘটনায় হাবু ছৈয়ালের লোকজন প্রতিপক্ষ যুবলীগের সভাপতি টিটু গাজীর লোকজনদের সাথে হামলা করার পরিকল্পনায় নেয়। হাবু ছৈয়ালের ছেলে চাঁদপুর থেকে সিএনজি বোঝাই অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ গোপনসংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর দিয়ে সিএনজিটি যাওয়ার সময় অস্ত্র সহ সিএনজি চালককে আটক করে। সিএনজি চালক রাজুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হাবু ছৈয়ালের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দেয়। উল্লেখ্য, চাঁদপুর থেকে হরিণা ফেরীঘাট ইজারাদার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি টিটু গাজীর সাথে চাঁদবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবু ছৈয়াল ও ইউনিয়ন বি.এনপির সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার গাজীর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। হাবু ছৈয়াল ও মুক্তার গাজীর লোকজন একত্রিত হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি টিটু গাজী লোকজনদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এই ঘটনায় গত ২দিন দফায় দফায় সংঘর্ষ ককটেল বিস্ফোরণ, ঘরবাড়ি ও দোকান ভাংচুর এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সকাল থেকে অদ্য পর্যন্ত হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে।