মনিরুজ্জামান বাবলু
হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়নের ৯৬ নং হোটনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ধসে পুকুরে পড়ে গেছে। ফলে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এখন খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হচ্ছে। দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ের দেয়ালে ফাটল ধরায় প্রধান শিক্ষক একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ঈদের দিনদিবাগত রাত থেকে ভবনটি ধসে পড়ে। রবিবার থেকে খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দুই বছর ধরে ক্লাস চললেও এখন দেয়াল ধসে পড়ায় মারত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে ভবনের বাকী অংশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলী রাণী পাল সর্বশেষ জুন মাসে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর ১৯৮৬/৮৭ সনে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবন ও টয়লেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তদস্থলে একটি নতুন ভবন ও টয়লেট নির্মানের আবেদন করেন। এরআগে গত ২৭ মার্চ আরোও একটি আবেদন করেন এই প্রধান শিক্ষিকা।
আবদনপত্রে উল্লেখ রয়েছে, বিদ্যালয়ের ভবনটিতে তিনটি শ্রেণীকক্ষ কয়েকবার ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ করে কোন রকম ক্লাস পরিচালনা করা হয়েছিল। ভবন ও টয়লেটটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে একটি নতুন ভবন ও একটি নতুন টয়লেট নির্মাণ করা অতীব জরুরী।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমা, তানজিনা ও নেয়ামত বলেন, ক্লাস ভেঙ্গে গেছে, তাই বাহিরে বসে পড়ানো হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বেঁচে গেল। ঈদুল আযহার দিবাগতরাতে বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বের দেয়াল ধসে পকুরে পড়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলী আক্তার বলেন, গত বছরের ২০ জুন বিদ্যালয়ে যোগদান করার আগেও একাধিবার আবেদন করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার সকল ঝুঁকিপূর্ন ভবনের তালিকা করার সময় ছবিসহ এই বিদ্যালয়ে ভবনটির বিষয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি।
পরিচালনা পষর্দের সদস্য ও ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন পুকুরে ধসে যাওয়ায় খেলার মাঠে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সহকারী শিক্ষা অফিসার আকতার হোসেন বলেন, খবর পেয়েছি, বিদ্যালয়টি পরির্দশন করবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল আউয়াল বলেন, ভবন ধসের বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অবহিত করেছে। ওই ভবনে আর ক্লাস করানো যাবে না। যতদ্রুত সম্ভব উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রথমিকভাবে একিট ব্যবস্থা নেয়া হবে। একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাটলের বিষয়টি অবহিত করলেও অবহেলার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন আবেদন পাইনি।
উল্লেখ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল আউয়াল আবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও গত ২৭ মার্চে উপজেলা শিক্ষা অফিসের স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করা হয়েছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।