ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর শহরে বিভিন্ন অপকর্ম মাদক ব্যবসা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। অপরাধীরা অপরাধ জগতের নিরাপদ স্থান হিসেবে হোটেলগুলোকে বেছে নিয়েছে। জে.এম. সেনগুপ্ত রোড পূরবী মার্কেটের ৩য়তলায় হোটেল শেরাটনে মাদক ব্যবসায়ী ও পতিতা ব্যবসা এখনো কমেনি। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিরাপদে দিনে অপরাধীদের স্থান দিয়ে ও ভাঁসমান পতিতাদের দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদপুরে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ফলাওভাবে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বুক ফুলিয়ে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মডেল থানার এসআই ফিরোজ, এএসআই সেলিম সরদার শেরাটন হোটেলের ৪র্থ তলায় ৩১৫নং রুমে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও মাদকের সরঞ্জামসহ মাছুমকে গ্রেফতার করে। তার পরেও কমেনি অপরাধমূলক কার্যক্রম। পুলিশ হোটেল শেরাটনে দিনের বেলায় অভিযান না করে রাতে তল্লাশী করার কারনে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
কারণ, মাদক ব্যবসায়ী ও পতিতা খর্দ্দেরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই হোটেলে এসে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। হোটেল শেরাটনে উঠতে পেছনে ও সামনে মোট ৪টি সিঁড়ি রয়েছে। বিশেষ করে প্রবাসীর স্ত্রী ও স্কুল কলেজের যুবতীরা পূরবী মার্কেটে মার্কেটিং করার নামে এসে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে হোটেলের ৩য় ও ৪র্থ তলায় উঠে পরে। তার পর শুরু হয় প্রেমিকদের নিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম। হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ১টি কক্ষ প্রায় ৮থেকে ১০ জন ব্যক্তির কাছে জন প্রতি ৫শ’ টাকা করে ভাড়া দিচ্ছে। তারা ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় ব্যয় করে চলে যাওয়ার পর সেই রুমটি অন্য ব্যক্তির কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদ স্থান হিসেবে শহরের আবাসিক হোটেলগুলোকে বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে, হোটেল শেরাটন, হোটেল আকবরী, হোটেল আল-রাশিদা ও আল-রাজিব অন্যতম। মাদক ব্যবসায়ীরা দিনের বেলায় এইসব হোটেলগুলোতে উঠে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের খবর দিয়ে এনে এখান থেকে মাল বণ্টন করে নেয়।
চাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসন দিনে ও রাতে এসব হোটেলগুলোতে সাড়াশি অভিযান চালালে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টায় মডেল থানার এসআই আনোয়ার সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে হোটেল শেরাটনে অভিযান চালায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে হোটেল ম্যানেজার পিছনের সিঁড়ি দিয়ে মাদক সেবনকারীদের নামিয়ে দেয়।
একটি সূত্র জানায়, হোটেল শেরাটনের মালিক পক্ষ রাজনৈতিক দলের কিছু নামধারী নেতাদের সাথে আঁতাত রেখে এভাবেই দীর্ঘদিন যাবৎ এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন এই হোটেলে অবস্থান করার সাথে সাথে সেই নামধারী নেতারা পুলিশকে হুমকী ও আসামীদের ছাড়িয়ে নিতে ব্যাস্ত হয়ে উঠে। এই সব নেতারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এভাবে অপরাধীদের শেল্টার দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করার সুযোগ করে দেয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।