চাঁদপুর:
চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুরের চরে প্রায় ১০ একর জমির পাট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রামচন্দ্রপুরের কৃষকরা পাট চাষাবাদ করেছে। এক দেড় হাত পর্যনত্দ পাট গাছগুলো বড় হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। রামচন্দ্রপুরের চরে এক ফসলী চাষাবাদ হয়ে থাকে। এ বছর এক ফসলী চাষাবাদের ভেতর পাট ছিলো। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদপুর ও বাবুরহাট বীজ ভান্ডার থেকে বীজ নিয়ে কৃষকরা পাট চাষাবাদ করে। বীজ ভান্ডার থেকে নেয়া বীজগুলো উন্নত জাতের না হওয়ায় পাট গাছগুলো এক দেড় হাত পর্যন্ত বড় হয়ে নষ্ট হয়ে পড়ে। যার ফলে কৃষকদের এতো বড় ৰতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। পাট আমাদের সোনালী আঁশ। সে সোনালী আঁশের ভেতরে যদি এ রকম নিম্নমানের ভেজাল পাটের বীজ বিক্রি করা হয় তাহলে কৃষকরা পাট চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। রামচন্দ্রপুর গ্রামের ৰতিগ্রসত্দ কৃষকের ক্ষতির দায়ভার কে নেবে। এমন প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আমরা পাঠ চাষাবাদের জন্যে চাঁদপুর ও বাবুরহাট বীজ ভান্ডার থেকে বীজ এনে জমিতে চাষাবাদ করে থাকি। এ বছর আমাদেরকে নিম্নমানের বীজ দেয়াতে আমাদের ১০ একর জমির পাট নষ্ট হয়ে গেছে। আগামীতে আমরা পাট চাষাবাদ কমিয়ে অন্য কিছু চাষাবাদ করার চিন্তা করছি। কে আমাদের এ ক্ষতি দেখবে। এখন আমরা কার কাছে যাবো। যারা আমাদের ক্ষতি করেছে আল্লায় যেনো তাদের ক্ষতি করে।