সাখাওয়াত হোসেন শামীম :
৩২ বছর যাবত স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন শাহরাস্ত্মি উপজেলার আজাগরা গ্রামের শেখ বাড়ীর সত্তর বছর বয়সী ফাতেমা বেগম। জীবনের শেষ প্রান্ত্মে এসে পাষন্ড স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। স্বামীর অধিকার টুকু না পেলে ও তালাকের অধিকার টুকু আদায় হলেও মরে শান্ত্মি পাবেন বলে জানান।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে কথা হয় ফাতেমা বেগমের সাথে। কান্না ও ÿোভের সহিত অতীতের বহু স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ১৯৪২ সালে তার জন্ম হয়। এর পর প্রায় ১৬ বছর পর পারিবারিকভাবে আজাগরা গ্রামের শেখ বাড়ীর আঃ কাদের শেখের সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তার ৭টি সন্ত্মান জন্ম গ্রহণ করে। হঠাৎ করে ১৯৮৪ সালে তার স্বামী তার কোন অনুমতি না নিয়ে ৪ সন্ত্মানের জননী পেয়ারা বেগম নামের এক মহিলাকে বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকে তার স্বামী তাকে নানাভাবে নির্যাতন শুরম্ন করে। এক পর্যায়ে তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সন্ত্মানদের নিয়ে তিনি তার বাবার বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরই মাঝে তার স্বামী বাড়ীর সকল সম্পত্তি বিক্রয় করে পার্শ্ববর্তী আলীপুর গ্রামে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে নতুন বাড়ীতে বসবাস শুরম্ন করেন।
ফাতেমা বেগম আরো জানান, তার দেড় বছর বয়সী ছোট কন্যা সন্ত্মান কাউসারকে তার পিতা জোর করে রেখে দেয়। পরবর্তীতে সে মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যু বরণ করে। পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত বড় ছেলে মনির হোসেন বাবার প্রতি ঘৃণা ও ÿোভের কথা জানিয়ে বলেন, ১৯৯৩ সালে ২ লÿ টাকা খরচ করে তিনি তার মায়ের অধিকার রÿায় শেখ বাড়ীতে ৮ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে ঐ বাড়ীতে বর্তমানে মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। স্থানীয় ইউ,পি সদস্য এম.মনির হোসেন মোলস্না ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, অধিকার বঞ্চিত এই মহিলা মানুষের দ্বারে দ্বারে বিচার প্রার্থী হলেও কেউ তাকে সহযোগিতা করে নি। এই বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মহিলার অধিকার আদায়ে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবো। পাষন্ড স্বামী আঃ কাদের মোলস্নার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার প্রথম স্ত্রীর কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আর কিছু বলবেন না বলে দ্রম্নত স্থান ত্যাগ করে দৌড়ে চলে যান।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ জনগণ এ ঘটনাটিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখলেও যাদের কারণে মহিলাটি যথাযথ বিচার পায়নি তাদের চিহ্নিত করার দাবী জানান।