চাঁদপুর থেকে নিখোঁজ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় বালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমানকে সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি জবানবন্দী প্রদান করেন। আদালতকে জানান, তিনি নিজেই ইচ্ছাকৃতভাবে মৌলভীবাজার চলে যান। এলাকায় জামায়াত নেতা হলেও দলীয়ভাবে অনেকটা কোন্ঠাসা ছিলেন বলে জানা। এ ছাড়া এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও চান্দ্রা সমিতি, দিশারী সমিতি, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন মাল্টিপারপাস কোম্পানী থেকে সে অনেক টাকা লোন নেয়। লোনের কারণে কৌশল হিসেবে তিনি এলাকা থেকে আত্মগোপন করে চলে যান বলে স্বীকার করেছেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানার এক মামলায় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, উক্ত জামায়াত নেতা চাঁদপুর থেকে আত্মগোপন করে মৌলভীবাজার এলাকায় গিয়ে সিএনজি স্কুটার চালাতেন। ওইখানে তার বোনের বাসা ছিলো। ফোনে তার স্ত্রীসহ আত্মীয় স্বজনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।
গত ১৬ জুন বালিয়া ইউনিয়ন মেম্বার শেখ হাবিবুর রহমান (৪৮)কে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার স্ত্রী সাবানা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় জিডি করেন। এর সূত্র ধরে বিভিন্ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার এএসপি (প্রভেশনাল) আরাফাতুল ইসলাম, ওসি তদনত্দ শাহালম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুজ্জামান, এএসআই সেলিম ও ১ জন কনস্টেবল মৌলভীবাজার যান তাকে খুঁজতে। তারা আগেই জানতে পেরেছেন সে সেখানে একটি সিএনজি স্কুটার চালাচ্ছেন। যার নম্বর মৌলভীবাজার থ-১১-৮৬০০। পুলিশ এসএ পরিবহনের মাধ্যমে সেটিকে চাঁদপুর এনেছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার তাকে মৌলভীবাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় সিএনজি স্কুটার চালানো অবস্থায় আটক করে। সেখানে তিনি শেখ মটরস্ নামে গাড়িটি চালাতেন। বসবাস করতেন ভাড়া বাসায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুজ্জামান রাতে সাংবাদিকদের জানান, হাবিবুর রহমান আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন ফরিদগঞ্জের একটি মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে রিমান্ডে আনা হবে।
উল্লেখ্য, তাকে আটকের পর এলাকাবাসী দাবি জানাচ্ছেন সে যে মিথ্যা কথা বলে মানববন্ধনসহ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন এ জন্য প্রশাসন যেনো তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার করে।