স্টাফ রিপোর্টার
তিন সন্তানের জননী কোহিনুর স্বামীর ঘরে যেতে চাইলেও নেশাখোর জুয়াড়ি নারীলোভী স্বামী চায় টাকা।
চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামের আকমান খানের মেয়ে কোহিনুর আক্তারের সাথে একই গ্রামের মোঃ আঃ লতিফ মিজির ছেলে নূরে আলম মিজির ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কোহিনুরের পিতা ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ফার্নিচার পাঠান। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটে এবং তাদের দু�টি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।
কিছুদিন পর নূরে আলম মিজি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গভীর রাতে বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে মারধর করা শুরু করে। দু�টি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সব কিছু নীরবে সহ্য করে যায়। নূরে আলম মিজি, নুরুল ইসলাম, ফাতেমা, তাহমিনা একজোট হয়ে কোহিনুরের বাবার বাড়ি থেকে ব্যবসা করার জন্যে ২ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্যে বলে। সে তার বাবাকে বিষয়টি জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অসহায় আকমান খান মেয়ের জামাইকে তার দাবিকৃত টাকা দেন। পরবর্তীতে বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণের জন্যে নূরে আলম মিজি ৪ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্যে তার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করে। কোহিনুর টাকা এনে দিতে অপারগতা শিকার করলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। উপায়ান্তর না পেয়ে কোহিনুর তার পিতাকে টাকা দেয়ার জন্যে বললে পুনরায় হাওলাত বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। নূরে আলম তার দাবিকৃত ৪ লাখ টাকা না পেয়ে বিয়ের সময় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে দেয়া ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। নিজের সুখের কথা চিন্তা করে কোহিনুর কাউকে কিছু বলেনি। এরই মাঝে সে আবার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং পুনরায় ব্যবসা করার নাম করে নূরে আলম মিজি তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্যে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা এনে দিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করলে তার স্বামী তাকে মারধর করে দু� সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সে তখন বাবার বাড়ি গিয়ে উঠে এবং একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। বর্তমানে কোহিনুর বেগম তিন সন্তানসহ অসহায় অবস্থায় বাবার বাড়িতে বসবাস করছে। উপায়ান্তর না পেয়ে তার স্বামীসহ ৪ জনকে আসামী করে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। কোহিনুর বেগমের বাবার পরিবার জানায়, আসামী পক্ষগণ বিভিন্নভাবে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করছে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।