খোলাবাজারে ডলার নিয়ে কারসাজি করায় পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ৪২ মানি এক্সচেঞ্জকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। বলেন, শোকজের যথাযথ উত্তর দিতে পারলে এসব মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। অভিযানে আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়ে এতদিন ব্যবসা করে আসছিল।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারে অনিয়ম পেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এরই মধ্যে আমাদের অভিযানে পাঁচটি মানি চেঞ্জার হাউজকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।
ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একাধিক টিম কাজ করছে মাঠে।
এর আগে রোববার সিরাজুল ইসলাম জানান, অনলাইনে ফরেক্স ট্রেডিং বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয় এমন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ডলারের কারসাজি হচ্ছে কিনা, তা ধরতে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ডিজিটাল প্ল্যাটফরম যেখানে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয় এমন সব প্রতিষ্ঠানে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি পরিদর্শন টিম গেছে। এসব প্রতিষ্ঠান হুন্ডি বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় ডলার কেনাবেচা করছে কিনা পরিদর্শন টিম দেখবে। যদি অনিয়ম পাওয়া যায় সে রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডলারে অনিয়ম পেলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে আমরা ১০টি টিম মার্কেটে পাঠিয়েছিলাম। তারা কিছু তথ্য পেয়েছে। যা রুলস- রেগুলেশন কাভার করে না। যাদের লাইসেন্স আছে তারা ছাড়াও অনেকে ডলার কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। এমনও পাওয়া গেছে একটি লাইসেন্স নিয়েছে গুলশানে তাদের আরেকটা শাখা হয়তো মিরপুরে। যারা এমন করেছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে কাদের আমরা লাইসেন্স দিয়েছি। তাছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া যারা কাজ করছে তাদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী কোনটা বাতিল হতে পারে, কোনটা স্থগিত হতে পারে।