চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর কালচো ইউনিয়নের প্যারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৮ মাস ধরে খোলা মাঠে পাঠগ্রহণ করে আসছে। বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খোলা মাঠেই পাঠদান চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। যার বয়স বর্তমানে ১০০ বছর। আর শত বছর হলেও বিদ্যালয়ে লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়ে একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি পুরনো হওয়ায় এখন তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২০০৬ সাল থেকে বিদ্যালয় ভবনটিতে শত শত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করে আসছে।
বর্তমানে ভবনের চারপাশের দেয়ালে ফাটল এবং প্রতিনিয়ত ছাদ ধসে পড়ছে। অভিভাবকদের চাপে ৮ মাস আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের খোলা মাঠেই ক্লাস নিচ্ছেন। তবে এখন বার্ষিক পরীক্ষা থাকায় অন্য জায়গায় পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। আসছে নতুন বছর। ৩শ’ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দাবি, নতুন বছরে নতুন ভবন তৈরি করা হোক।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেন জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২৭১ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। ভবনের পাশাপাশি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান জানান, ভবন মেরামত ও নতুন ভবনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘নতুন ভবনের বরাদ্দ চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠান হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম জানান, এ বিদ্যালয়ের কথা শুনেছি। দ্রুত কিছু অর্থ বরাদ্দ দিয়ে একটি টিনসেড ভবন তৈরি করে দেওয়া হবে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।