নিজ স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের কেএমএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সবুর।
দীর্ঘদিন ছাত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে পালীয়ে যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ও মুখরোচক গল্পের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি এঘটনা ঘটলেও ব্যাপারটি চেপে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক উপস্থিত না হওয়ার বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি তুলেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আব্দুস সবুর পাশের গ্রাম জিয়ানগর (চুলকানি) কেএমএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে গতকয়েক বছর আগে চাকরি নেন। দীর্ঘদিন তার নিজ স্কুলের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে গোপনে প্রেম করে আসছিলেন। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও পরে আর গোপন থাকেনি।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহির রায়হান জানান, ব্যক্তির চাইতে প্রতিষ্ঠান অনেক বড়। তার কারণে এই প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হোক এটা কেউ চায় না।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিপন হোসেন জানান, ‘আমি মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ঘটনাটি সত্য। শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ কামরুজ্জামান জানান, বিয়ে প্রত্যেক ছেলে-মেয়েরই একটা বয়সে করা লাগে বা বিয়ে হয়ে থাকে। তবে স্কুল শিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা বড়ই বেমানান। আর শিক্ষক ছাত্রীকে যদি বিয়ে করেই থাকে, তাহলে উভয় পরিবার আলোচনার মাধ্যমে দুজনার পছন্দের মর্যাদা দিয়ে আয়োজনের মাধ্যমে ঘরে উঠিয়ে নেয়ায় ভাল। যদি ঘটনা সত্যি হয়। আর মেয়েটির সাথে যদি প্রতারণা করার চেষ্টা করা হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।