আবু সাঈদ ঃ
কচুয়ার দোয়াটি গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে সঞ্জয় সরকার নামে এক ভন্ড কবিরাজ মূর্তির পাশাপাশি পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে কবিরাজী করার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। মন্দিরে কোরআন শরীফ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ এনে ভন্ড কবিরাজের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকার ধর্মপ্রান হাজার হাজার মুসলমান প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে। পুলিশ সঞ্জয় সরকার নামে এ ভন্ড কবিরাজ কে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত বুধবার রাতে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কচুয়া থানার পুলিশ দোয়াটি গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে গিয়ে ৩টি পবিত্র কোরআন শরীফ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওই গ্রামের একটি মসজিদে হস্তান্তর করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় অধিবাসীরা দারুন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। গত শুক্রবার বিক্ষুদ্ধ জনতা ভন্ড কবিরাজ সঞ্জয় সরকারের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। গত শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে দিকে শাজুলিয়া দরবার শরীফের পীর মাওঃ মোহাম্মদ রুহুল্লাহ শাজুলির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ভন্ড কবিরাজ সঞ্জয় সরকারকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সম্মুখীন করার জোড়ালে দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করা হয়। এদিকে উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশের প্রায় ৫ ঘন্টা পর শনিবার রাত ৮ টার দিকে কচুয়া থানার পুলিশ সঞ্জয় সরকারকে তার দোয়াটি গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার ৪ অক্টোবর কচুয়া থানায় ২৯৫-ক ধারায় ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-০২। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার এসআই নুরুল আলম জানান, গ্রেফতারকৃত ভন্ড কবিরাজ সঞ্জয় সরকারকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে পুলিশ রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন জানানোর প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সঞ্জয় সরকার গ্রেফতার হলেও এলাকার ধর্মপ্রান মুসলমানদের ক্ষোভ-উত্তেজনা কমছে না। প্রতিবাদকারীরা শীঘ্রই ভন্ড কবিরাজ সঞ্জয় সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চায়।
উল্লেখ্য যে, সঞ্জয় সরকার গত ৬/৭ বছর যাবত তার বাড়ির সামনে লোকনাথ মন্দির স্থাপন করে কবিরাজি করে আসছিল। প্রায় ৩ বছর পুর্বে সে ওই মন্দিরে কোরআন শরীফ রেখে তার কাছে আগত মুসলমান রোগীদেরকে বলে- সে অলৌকিক ভাবে কবিরাজি বিদ্যা লাভ করেছে। সে কোরআন শরীফ পড়তে না জানলেও তার সাথে থাকা জ্বীন প্রতি সোমবারে তার উপর আছর হয় এবং কোরআনের আলোকে ওই জ্বীন বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার পদ্ধতি তাকে শিখিয়ে দেয়।