অভিজিত রায় ॥
চাঁদপুর নৌ-ফাড়ির এ এসপি (রিভার) রিপন কুমার মোদকের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী দাবী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক তরুনী। অভিযোগের আলোকে জানাযায়, অভিযোগ কারিনী তরুনীর নাম তপা বিশ্বাষ। সে গোপালগঞ্জ জেলার ১৩১নং মাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। গত ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্ষ্টার্স কোর্স শেষ করে ঢাকায় আসে। এরপর ঢাকায় তার মামাত ভাই সুবর্ণ মন্ডলের সাথে হোমিওপ্যাথি কোর্স করতো রিপন মোদক। সেই সুত্র ধরে ২০০৬ সাল থেকে মামাত ভাইয়ের মাধ্যমে মোবাইলে রিপনের সাথে কথা আদান প্রদান অতঃপর গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কের রেশ ধরে রিপনের আবেগকে পশ্রয় দিয়ে ২০০৬ সালে ১১ নভেম্বর ঢাকা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেই সময় রিপন তপাকে জানায় সে তপাকে অনুষ্ঠান করে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে। এভাবে চলতে থাকে গোপন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। এরপর ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রিপন বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি পদে টাঙ্গাইলে যোগদান করে। সেখানে রিপনের টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার পাশে কনা ভিলায় ভাড়া বাসায় তপাকে নিয়ে রাত কাটাতো। এরপর রিপন তার বাসায় সহকর্মী আছে বলে তপাকে আর বাসায় আসা যাবেনা বলে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর টাঙ্গাঈল থেকে পোষ্টিং হয়ে রিপন বাগেরহাটে চলে যায়। কিন্তু তপাকে বিয়ে করবে বলে নানান তালবাহানা কথা বলতে থাকে। অবশেষে তপা বাগেরহাটে গিয়ে রিপনকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ বিষয়ে বাগেরহাটের এসপি নিজামুল হকের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসা হয় এবং সেখানে তপাকে রিপন ২ মাসের মধ্যে স্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ায় তারিখ নির্ধারন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই রিপন মোদক চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে এএসপি (রিভার) হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে তপার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। রিপন চাঁদপুরে চলে আসলে তপা অনেক খোঁজার পর অবশেষে ৩ মাস পর জানতে পারে রিপন চাঁদপুরে পোষ্টিং হয়ে আসে। এর মধ্যে রিপন মোদক পারিবারিকভাবে বিভা নামে একটি মিয়েকে বিয়ে করে। তপা জানতে পারে রিপনের পারিবারিকভাবে বিয়ে করা স্ত্রী বিভার গর্ভে সন্তান রয়েছে। এদিকে তপাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় তপা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরে। রিপন বিভিন্ন ভাবে তপাকে হুমকি দিয়ে আসে বলেও জানাযায়। অবশেষে তপা কোন উপায় অন্তর না পেয়ে গতকাল দুপুর ১ টায় রিপনের সাথে দেখা করা উদ্দেশে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে চলে আসে। এ সময় রিপন তাকে দেখে অটো রিক্সাযোগে পালিয়ে যেতে চেষ্টা চালালে তপা রিপনের হাত ধরে বলে আমাকে বাসায় নিয়ে যাও। রিপন তাকে পাগল বলে মারধর করে পুলিশ কনষ্টেবল দিয়ে তপাকে সরিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তপাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এসে তপা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে রিপনকে জড়িয়ে তার জীবনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন। তপা আরো জানায় রিপন মোদকের বেকার জীবন থেকে শুরু এ পর্যন্ত স্বাবলম্ভি হওয়ার নেপথ্যে তপার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে বলে জানায়। উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তপা জানায় তার ইচ্ছা রিপন মোদক তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলুক। এ ক্ষেত্রে রিপনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা স্ত্রী ভিবাকে নিয়ে তার কোন সমস্যা হবেনা। সে শুধু চায় স্বীকৃতি। যদি রিপন তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে যে শাাস্তি হওয়া দরকার তার জন্য তপা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা চালাবে। এদিকে তপাকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলেও তপা জানায়।
শিরোনাম:
শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।