গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ আতঙ্কে ফরিদগঞ্জের খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। যদিও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারিদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের নিবন্ধিত ২৩টি খামার উল্লেখ থাকলেও নিবন্ধন ছাড়া প্রায় একশ খামার রয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেক বাড়িতেই কিছু কিছু পরিবার নিজের প্রয়োজনে বা শখের বসে ২/৪টি গবাদি পশু পালন করেন। শীতের শুরুতেই হঠাৎ করে গবাদি পশুর এমন রোগে খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
উপজেলার রামপুর এলাকার জননী দুগ্ধ খামারের পরিচালক আবদুল কাদের পাটওয়ারী জানান, তিনি ৩০ বছর যাবত গবাদি পশু পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিনে এমন রোগ আর কোনোদিন দেখেননি। এই রোগে গরুর পুরো শরীরে বসন্ত গোটার মতো উঠে পচন দেখা দেয়। এতে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। পাইকপাড়া ইউনিয়নের রামদাসেরবাগ গ্রামের খামারি সাইফুল ইসলাম জানান, তিনিও দীর্ঘদিন থেকে গবাদি পশু পালন করে আসছেন। কিন্তু এমন রোগ আর কখনো দেখেননি। তাই নিজের খামারের গবাদি পশু নিয়ে আতঙ্কে আছেন তিনিও। তবে সরকারিভাবে এ রোগের চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন তৈরি হলে খামারিদের জন্যে সুফল বয়ে আনবে_এটাই তার প্রত্যাশা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জ্যোর্তিময় ভৌমিক বলেন, এটি ভাইরাসজনিত রোগ। সহজভাবে ফঙ্ রোগ বলা যায়। এই রোগে গবাদি পশু দুর্বল হবে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি নেই। এতে খামারিদের আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। এই রোগ দেখা দেয়ার ১০/১৫ দিনের মধ্যে গবাদি পশু সুস্থ হয়ে যাবে। মাঠপর্যায়ের কিছু চিকিৎসক খামারিদের ভুল বুঝিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। যে সকল খামারি পরামর্শের জন্যে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে আমরা তাৎক্ষণিক সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে গরুর জন্যে এই রোগটি নতুন। তাই এর ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি।