ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের এ আর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রুমা আক্তার (১১) (রোল নং-১৩১)-এর বাল্য বিয়ে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভাগ্নির বাল্য বিয়ে ঠেকানোর জন্য পুলিশ ডেকেও কোনো কাজ না হওয়ায় উল্টো বোনের দায়ের করা মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে ভাই জহির মৃধাকে। গতকাল রোববার দুপুরে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান জহির মৃধা।
জানা গেছে, উপজেলার রূপসা ইউনিয়নের প্রবাসী মোহাম্মদ আলী সরকারের ১১ বছরের মেয়ে ফরিদগঞ্জ এ আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রুমা আক্তারকে তার মা রেখা বেগম বয়সের তথ্য গোপন করে একই গ্রামের জনৈক আনোয়ার হোসেনের সাথে গত ২৫ আগস্ট বিয়ে দেন। বিয়ে পড়ান স্থানীয় মৌলভী আব্দুল লতিফ পাটওয়ারী। এ বাল্য বিয়ে নিয়ে রুমা আক্তারের মামা জহির মৃধা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ওই রাতেই বর আনোয়ার হোসেনকে থানায় নিয়ে আসলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এরই জের ধরে রুমার মা রেখা বেগম তার ভাই জহিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় গতকাল রোববার সকালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সংবাদ শুনে জহির মৃধা তার ভাগ্নি রুমা আক্তারকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হন এবং লিখিত অভিযোগ করেন। ইউএনও রুমা আক্তারের কাছ থেকে বিয়ের বিষয়ে জেনে ঘটনা তদন্তের জন্য মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এদিকে বাল্য বিয়ের ঘটনায় বাধা দেয়ায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের মিথ্যা মামলা দায়ের ও বাল্য বিয়ের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। জহির জানান, ইতিপূর্বে তার বোন রেখা তার বড় মেয়ে রেশমাকে ১৪ বছর বয়সে বিয়ে দেন। এদিকে রুমার স্বামী প্রতিদিন তাদের বাড়িতে আসায় সে ভীত হয়ে মামার বাড়িতে চলে এসেছে। এ কারণে তার বোন ক্ষিপ্ত হয়ে তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।