‘মুজিববর্ষে মুজিব হবো, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবো’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে
সেদিন বগুড়ার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়েছিল গানের তালে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে।
সেই ডিসপ্লেতেই বঙ্গবন্ধুর মুখোশ পরেছিল শিক্ষার্থীরা। মাত্র ২০ মিনিটের
ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বক্তব্য ছিল অসাধারণ! যারা সেদিন
শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির ওই বক্তব্য শুনেছেন, তারা বহুদিন মন্ত্রীর
আকর্ষণীয় সুন্দর বক্তব্যের কথা মনে রাখবেন। অথচ সেই দিনের সুন্দর অনুষ্ঠান
নিয়ে একজন সাংবাদিক নেতিবাচক সংবাদ পাঠালেন ঢাকায়; তার দৈনিকে নেতিবাচক সেই
খবরটি প্রকাশ পেলে বগুড়ার মানুষ বিস্ময়ে হতবাক। তারা বলছেন, বগুড়ার আরও
সাংবাদিক সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কই আর কারো চোখে তো নেতিবাচক কিছু
পড়েনি। তাহলে কি ওই পত্রিকার বিশেষ কোনও এজেন্ডা রয়েছে? সেই এজেন্ডা
বাস্তবায়ন করতেই ওই দৈনিকটি বঙ্গবন্ধুর মুখোশ পরিহিত শিক্ষার্থীদের ছবি
ব্যবহার করে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে! সংবাদটিতে অযাচিত ও অন্যায়ভাবে
শিক্ষামন্ত্রীর ইমেজকে কটাক্ষ করা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, সৎ ও ডায়নামিক
শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে সরকারের নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়, যেটা খুবই
দুঃখজনক! আর এতে পত্রিকাটি আত্মতৃপ্তি পায় এবং সেটা ফলোআপ নিউজে বেশ স্পষ্ট
করেই প্রকাশ পায়।
এতো কিছুর পরেও একটি খটকা থেকেই যায়। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সেখানে
গিয়েছিলেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একটি ভবন উদ্বোধন করতে। শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানটিতে তার প্রবেশ, স্বাগত জানানো, ভবন উদ্বোধন, গানের তালে
‘মুজিববর্ষে মুজিব হবো, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবো’ শীর্ষক মনোমুগ্ধকর
ডিসপ্লে, বক্তৃতা পর্ব এবং বিদায় নেয়া, সব মিলিয়ে মাত্র ২০ মিনিট মন্ত্রী
সেখানে ছিলেন। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন উদ্বোধনের জন্যে যে ডিসপ্লের আয়োজন
করেছিল, সেটা তো শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির জানার কথা নয়। ডিসপ্লেতে
বঙ্গবন্ধুর মুখোশ ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে মন্ত্রীর দোষ কী? আর
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের ভাবনা থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি
‘মুজিববর্ষে মুজিব হবো, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবো’ শীর্ষক মনোমুগ্ধকর
ব্যতিক্রমী ডিসপ্লে উপস্থাপন করে অন্যায়টিই বা কী করেছে?
এ এক আজব দেশ! ভালো কিছুও যেন ভালো চোখে দেখতে পারি না আমরা। নইলে বগুড়ার
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মনোমুগ্ধকর আয়োজন নিয়ে প্রথম সারির কোনো গণমাধ্যম
এমন নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করতে পারে!
লেখাটি ‘উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ’-এর সম্পাদক প্রবির সিকদারের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।