প্রতিনিধি : চাঁদপুরের-ফরিদগঞ্জসহ ৪ উপজেলার সংযোগ রক্ষাকারী চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক থেকে সংযুক্ত প্রস্তাবিত এম.এ. ওয়াদুদ সেতুটি মুজিব বর্ষেই যানবাহন পারাপারের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষে দ্রæত কাজ করে যাচ্ছে বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থা এলজিইডির ।
সেতুটি এখনই অনেকটা দৃশ্যমান। আনুসাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হলে চালু করার কথা রয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া থেকে দক্ষিণ আলগী স্টীল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ও চররনবলিয়া গ্রাম এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপর ৩৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৭৪ দশমিক ২০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এই সেতুটির কাজ সম্পন্ন হলে এবং যানবাহন পারাপারের জন্য উন্মোক্ত করে দেয়া হলে চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ, রায়পুর ও লক্ষীপুর উপজেলার জনগণের জন্য সড়ক পথে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ঢাকা যাওয়া আসার ক্ষেত্রে দেড় দুই ঘন্টার পথ কমে আসবে। তখন আর কষ্ট করে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে নদী পার হতে হবে না।
এই সেতুটির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ শেষ হয়ে গেছে এবং সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ বাকি রয়েছে। এর দক্ষিন পাড়ে ৪৬০ মিটার এবং উত্তর পাড়ে ২শত মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং জমি অধিগ্রহন বাবদ আরো ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে স্থানীয় মানুষের সময় ও অর্থনৈতিক সাশ্রয় হবে। মালামাল পরিবহনসহ নানা সুবিধার আওতায় আসবে। এই সেতু নির্মাণের দাবী বহু বছরের। বর্তমান সরকার এই সেতুটি নির্মাণ করায় মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরন হবে।
চাঁদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ হোসেন বিশ^াস জানান, চাঁদপুর জেলায় এই প্রথম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে সম্পূর্ন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজের গুনগতমান বজায় রেখে অটোমেটিক মেশিনের সাহায্যে পাথর, রড ও সিমেন্টদিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন মুজিব বর্ষের শুরুই এই সেতুটি খুলে দেয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির পিতা ভাষাবীর মরহুম এম.এ.ওয়াদুদ এর নামে সেতুটির নামকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে এই নামে সেতুটির নামকরণ হবে।