চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, বাজারে লবণসহ খাদ্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। গুজবে কান দেবেন না। মূলতঃ পেঁয়াজের পর এবার লবণের দাম নিয়ে একদল চক্রান্তকারী গুজব ছড়াচ্ছে। আর এ বিষয়টি সর্বপ্রথম সিলেট জেলা থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। যে ছড়িয়েছে তাকে আটক করা হয়েছে। চাঁদপুরে কোনো ধরনের খাদ্য সামগ্রীর সঙ্কট নেই। তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর শহরের পালবাজার, বিপণীবাগসহ কয়েকটি বাজারে আমি নিজে মনিটরিং করেছি। যেখানে দেখেছি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চাহিদার বেশি লবণ কিনছে। তারা লবণ কেন বেশি কিনছে জিজ্ঞাসা করায় তার কোনো সুস্পষ্ট ও সদুত্তর দিতে পারেননি। চাহিদার বেশি কিনায় বাজারে লবণের সংকট সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় অনেকে ফায়দা নিচ্ছে। মূলতঃ এটা করা হচ্ছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে। এসব করে অনেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। তবে এসব করে অতীতেও কেউ পার পায়নি, ভবিষ্যতেও পার পাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ শওকত ওসমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক আজিজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মার্কেটিং অফিসার রেজাউল ইসলাম, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রোটাঃ মোঃ আবুল কাশেম, লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজাদ মজুমদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, সহ-সভাপতি সোহেল রুশদী, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কেএম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, সদস্য মোঃ শাওন পাটওয়ারী ও মোঃ ইব্রাহিম।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জামাল হোসেন, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মির্জা জাকির, ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি কাদের পলাশসহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকগণ।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বাংলাদেশে বহু রকমের গুজব ছড়িয়ে কেউ লাভবান হতে পারেনি। বরং যিনি গুজব ছড়িয়েছেন তিনি বিপদে পড়েছেন। গুজবের মাধ্যমে কেউ যেন ফায়দা লুটতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। তিনি আরো বলেন, এই দেশটাকে এগিয়ে নেওয়াটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একার দায়িত্ব নয়, আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আসুন আমরা যোগ্য নাগরিকের দায়িত্ব পালন করি। হোক সে পাইকারি বা খুচরা বিক্রেতা। যদি সে সিন্ডিকেট করে তাকে কোনো অবস্থায় ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়টি নজর দিতে আমাদের সবারই নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশে কোনো অবস্থাতেই মানুষের জানমালের ক্ষতি হতে দেয়া হবে না।