স্টাফ রিপোর্টার:
: ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত ও পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় ঝরে যায় তরতাজা ২৩ প্রাণ। আহত হয় শতাধিক মানুষ। ওই ২৩ জনের মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর পাচানী গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মী শ্রমিক আতিক সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হাইমচর উপজেলার উত্তর চর কৃষ্ণপুর গ্রামের আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারী নিহত হন।
দীর্ঘ ১২ বছর পরেও নিহত ২ পরিবার হামলাকারীদের বিচার না হওয়ায় এখনো শোকাহত। তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন সরকারের কাছে।
শনিবার( ২০ আগস্ট) নিহত দুই পরিবারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলে জানাযায়, মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের উত্তর পাঁচানি গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ কর্মী আতিক সরকার। ঢাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। নিহত হওয়ার পরে রেখে যান স্ত্রী ও ৪ সন্তান।
তার স্ত্রী লাইলি বেগম বলেন, তার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর দলের পক্ষ থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয় এবং এরপর দীর্ঘ ৯ বছর অতিকষ্টে সংসার পরিচালনা করেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা পিক্সড ডিপোজিট করে দিলে ১০হাজার টাকা লভ্যাংশ দিয়ে চলছে তাদের সংসার।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন মেয়ে তানিয়া ও বড় ছেলে মিথুন উচ্চ মাধ্যমিকে এবং ছোট দুই ছেলে মিন্টু ও সাকিব পড়েন অষ্টম শ্রেনীতে। কিন্তু ৪ সন্তানের পড়া-লেখা ও সংসার খরচ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে লাইলি বেগম। তার সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মেয়ে বড় ছেলে কর্মংস্থানের দাবী করেছেন সরকারের কাছে। পাশাপাশি তার স্বামীর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারীর পরিবার এখনো শোকাহত। ছেলে হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে পারেননি তার মা আমেনা বেগম। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন।
কুদ্দুছের বড় ভাই মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর সব সময় খোঁজ খবর রেখেছেন এবং সহায়তা করেছেন। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করি এবং তার স্মৃতি সংরক্ষণ করতে তার নামে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়, সে জন্য সরকারের কাছে তাদের আকুল আবেদন।
তিনি আরো জানান, ২১ আগষ্ট রোববার নিহত আঃ কুদ্দুছ পাটওয়ারী স্মরণে মিলাদ, দোয়া, আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।