রফিকুল ইসলাম বাবু, :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এলাকার তিন বখাটে এই ঘটনায় জড়িত থাকলেও বুধবার সকালে পুলিশ দু‘জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। দুপুর দু‘টায় গ্রেপ্তারকৃতদের চাঁদপুরের বিচারিক হাকিম নুসরাত জাহান উর্মির আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালতে ঘটনায় দায় স্বীকার করে আসামীরা জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ধর্ষণ করার সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর লুধুয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন হাজীর ছেলে সাইদুল (২২) ও মৃত. মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোস্তফা (২২)কে আটক করা হয়। হাজী আবুল হোসেনের ছেলে মোহন (২৩) পলাতক রয়েছে।এব্যাপারেধর্ষিতার মা মতলব উত্তর থানায় বুধবার ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০(সংশোধন/২০০৩)ইং এর ৯(৩) এবং ৩৭৯/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড’ ধারায় প্রথম প্রহরে মামলা করেছেন। মামলার বাদি ভিকটিমের মা জানান, ১৬ জানুয়ারী শনিবার রাত ৮টায় আমার মেয়ে প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে গিয়ে ঘরে ফিরতে দেরি করলে আমি বের হয়ে তাকে খোজাখুজি করতে থাকি। পরে ১০টার দিকে বাড়ির লোকজন নিয়ে কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গেলে মোহন, মোস্তফা ও সাইদুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন আমরা শাহজাহানের বাড়ির কাছে কবরস্থানের পাশে ধান ক্ষেতে আমার মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাই। সাথে সাথে স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা নেয়া হয়। তিনি আরো জানান, আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই মহন প্রেমের প্রস্তাব দিত। ২জানুয়ারী মোহন আমার মেয়ের হাতে দু’টি মোবাইল নম্বর লিখে একটি কাগজ দিলে তা আমার মেয়ে ছিরে ফেলে দেয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছাত্রীকে মোবাইলে ধর্ষনের ভিডিও ধারণ করা হয়। স্কুল ছাত্রীর পরিধেয় স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। টাকা দাবী করে, টাকা না দিলে ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় ধর্ষনকারীরা। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মেয়ের মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে