রিফাত কান্তি সেনঃ-
দূর্ঘটনা কাউকে বলে কয়ে আসে না,আর সেটা যদি হয় অগ্নিকান্ড তবে তো কথা ই নেই।নিমেষেই চোখের পলকে ধুলিষাৎ সব কিছু।
কিছু মানুষের বাঁচবার একমাত্র অবলম্ভন আগুনে পুঁড়ে ছাই!ফরিদগঞ্জ বাজারের মার্কন্টাইল ব্যাংক সংলগ্ন পাঁচটি দোকান নিমেশেই আগুনে পুঁড়ে ছাই।ব্যাপক ক্ষয়- ক্ষতির আসংখ্যা।
জানা যায় দুপুর ১২ – ২০ মিনিটে দোকান গুলোতে আগুনের সূত্রপাত হয়।এর পর সে আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যেতে শুরু করে।আগুনের লিলিহান শিখার কাছে অবরুদ্ধ জনসাধারন।এর পরও প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।এক পর্যায়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা ৭০ ভাগ আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার পর চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার স্থলে পৌছান।তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসে।আরেকটু দেরি হলে এ আগুনে আরো বড়ো ধরনের ক্ষতির দিকে এগিয়ে চলতো।পাঁচটি দোকানের মধ্যে একটি লেপ- তোসকের,একটি সারের,একটি সেলুন,একটি মুদি ও একটি চায়ের দোকান ছিলো।ভাঙ্গিস আগুন পাশের মার্কেন্টাইল ব্যাংক এ প্রবেশ করেনি।তবে ওই বিল্ডিংটির ও জানালা,এসি,পানির পাইপ লাইন আগুনে পুঁড়ে যায়।এছাড়া দোকান গুলোর অপর পার্শের একটি মোবাইলের দোকানে ও আগুন প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এখন উপজেলাবাসীর অভিযোগ – নিজ উপজেলায় যদি একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকতো। তবে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো কম হতো।কারন উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের।আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জ কিংবা ফরিদগঞ্জের গ্রাম গুলোতে পৌছাতে পৌছাতে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।অনেকবার ই গুঞ্জন শুনাগিয়েছিলো যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ফরিদগঞ্জে হবে,কিন্তু সেটার বাস্তবতা আজ ও অধরা ই রয়ে গেলো।স্বপ্নের বাস্তবায়নের অপেক্ষায় উপজেলাবাসী! আর কোন বাহানা নয়!এবার ফরিদগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন দেখতে চায় ফরিদগঞ্জের আপামোর জনসাধারন।
কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভূক্তভূগী জনসাধারন।