চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় জোর করে বাল্যবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১২ বছরের এক কিশোরী তার মা, স্বামী ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল শনিবার ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। আজ রোববার ওই কিশোরী ঘটনা সম্পর্কে চাঁদপুরের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
কিশোরীর খালা সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক বছর আগে কিশোরীর বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ওই কিশোরী চাঁদপুর সদর উপজেলার শিশু সদনেই লালিত-পালিত হচ্ছিল। সেখানে থেকে সে চাঁদপুরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৯ জানুয়ারি তার মা নাজমা আক্তার তাকে এতিমখানা থেকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যান তিনি। সেখানে সৎ বাবা সুরুজ মিয়ার সহযোগিতায় এবায়েদুল হক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে তার বিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন রাতে স্বামী তাকে নিয়ে চাঁদপুরের তার (কিশোরী) বাড়িতেই অবস্থান করেন।
কিশোরীর খালা বলেন, এ বিয়েতে কিশোরী রাজি ছিল না। বিষয়টি শাহরাস্তি থানার পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ গতকাল ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং মা, স্বামী ও সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর কিশোরী ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
শাহরাস্তি থানার পুলিশ জানায়, মামলার তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর আজ রোববার বিকেলে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে কিশোরী। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরীকে তার খালার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আজ দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিশোরীকে তার খালার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।–সুত্রঃপ্রথম আলো