এলিজা আজাদ
আজকাল সবকিছু কেমন অচেনা হয়ে গেছে
মাথার উপরে খোলা আকাশটাও বেশ অচেনা
নিয়মমাফিক কোনকিছুই আর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না
শীতের চেনা চেহারাটাও ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে শুরু করেছে
আমাকে সাথে নিয়েই বদলে যাচ্ছে চেনা মাঠটি’র রঙ
তোমার শরীরের সাথে লেপ্টে থাকা খুব চেনা ঘ্রাণটুকুও
আমি অনেক পিছনে ফেলে এসেছি
আমি বদলে যাচ্ছি যেমন করে চিত্রকরের ছোঁয়াতে বদলে যায়
ক্যানভাসে আঁকা ছবিটির রঙ
আমার সামনের প্রশস্ত রাস্তাটিও কেমন সরু হয়ে গেছে বেঁকে
তবুও আমি হেঁটে চলেছি কাঁটা-কঙ্কর সরিয়ে সরিয়ে
সময়টাও ভীষণ অবাধ্য হয়ে উঠেছে আজকাল
সব কেমন এক হয়ে তালগোল পাকিয়ে গেছে আমার মগজে
আকাশের দিকে তাকালেই দেখি
ঝাপসা লাল ধিকিধিকি আঁচ মেশানো অচেনা আকাশ
আমার অস্থিরতা বেড়ে যায়
এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ গুনে গুনে
আমি তোমাকে খুঁজতে শুরু করি
আমার ভিতরে অদ্ভুত এক ভালোলাগা বোধ কাজ করতে শুরু করে
বুঝতে পারি ঘোর লাগা ঘোর মায়ার বাঁধনে বেঁধে ফেলেছে আমায়
সামনে তাকিয়ে দেখি তুমি কোনোদিকে না তাকিয়েই হেঁটে চলে যাচ্ছ
তোমার মায়াবী চোখে মুখে সস্নেহ রোদ্দুর যেন ঠিকরে পরছে
আর আমি পড়ে রইলাম কুয়াশাঘেরা ঘনঘোর চত্বরে
আমারি চোখের সামনে দিয়েই তুমি
হেঁটে চলে গেলে দিগন্তঘেরা প্রান্তরের শেষ প্রান্তে
একান্তে…
নিভৃতে…
আনমনে…