স্টাফ রিপোর্টার:
‘আপনারা জানেন, গত ৪ জুন চাঁদপুর শহরে অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। অত্যন্ত নৃশংসতম খুন এটি। আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা-ের বিষয়ে আপনারা (সাংবাদিক) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। কিন্তু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই আমরা অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করেছি। আমরা ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছি, সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলা যাবে না। অ্যাডঃ জহির ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা আছে কি না তাও আমরা খতিয়ে দেখছি। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারাও এমন কোনো তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন না যা মামলার জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে। কষ্ট করে আসার জন্যে আপনাদের ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।’ কয়েক মিনিট সময় নিয়ে এভাবেই অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি হত্যার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং শেষ করলেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম। এরপর তিনি এ বিষয়ে আর কোনো কথাই বলেন নি। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তরই তিনি দেননি। সকল প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না। আমরা চাচ্ছি যে, এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-ের সুষ্ঠু এবং সঠিক তদন্ত হোক, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন হোক, ঘটনার সাথে জড়িতরা আইনের আওতায় আসুক।
সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছেন, আটক আসামীর নাম, ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না, কী কারণে বা কার নির্দেশে সে এ হত্যাকা- ঘটালো। এসবের কোনো উত্তরই তিনি দেননি। এছাড়া তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাডঃ জহির আদালতে যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তার উপর নির্যাতন করছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করার চেষ্টা করছে, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী। পুলিশ সুপার তখন বলেন, অ্যাডঃ জহির সাহেব এসব বলে থাকলে ঠিক বলেন নি। তাঁর প্রতি কোনো ধরনের অন্যায় আচরণ করা হয় নি।
গতকাল বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকা-ের ঘটনায় একজন আটক হওয়ার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার। এতে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান ও ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন।