অনলাইন ডেস্ক–
আসছে ৩ নভেম্বর। তারিখটি এগিয়ে আসার সাথে সাথে সৌদি শ্রমমন্ত্রণালয় অবৈধ শ্রমিক ও তাদের নিয়োগকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বরাবর একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রেরণ করেছে।
বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক আছে। যাদের মধ্যে ৬ লাখেরও বেশি অবৈধ শ্রমিক আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ ক্ষমার সুবিধা কাজে লাগিয়ে কতজন শ্রমিক বৈধতা নিয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিতি তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। খবর-আরব নিউজের।
পরিদর্শন ও কাজের পরিবেশ উন্নতকরণ বিষয়ক সহকারি শ্রমমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের আবু থানিন বলেন, “আমরা অবৈধ শ্রমিক ও তাদের নিয়োগকর্তাদের ধরতে একটা পরিদর্শন দল গঠন করব। যারা অবৈধ কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের খুঁজে বের করতে কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করবে।”
প্রত্যেকটি পরিদর্শকদলে কমপক্ষে দুইজন যোগ্যতা সম্পন্ন পরিদর্শক থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে পরিদর্শকদল অভিযান পরিচালনা করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিদর্শক দলকে রাস্তায় অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের বিশেষ ক্ষমতাও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৩ নভেম্বরের ডেড-লাইন এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো।
উল্লেখ্য, বাদশা আব্দুল্লাহ অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য ৬ মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করে যারা বৈধতা নেননি আগামি ৩ নভেম্বর থেকে তাদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপি বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শ্রম মন্ত্রণালয় বিদেশী কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করবে। পরিদর্শকদল কিভাবে অভিযান পরিচালনা করবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে পরিদর্শকদলকে কিভাবে সহায়তা করতে হবে সে বিষয়ে এই কর্মশালার মাধ্যমে নিয়োগকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
আবু থানিন বলেন, “সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আমরা অবৈধ শ্রমিকদের কোন প্রকার ছাড় দেব না। অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য ৬ মাস পর্যাপ্ত সময় বলে আমরা মনে করি।”
পরিদর্শকদল অবৈধ শ্রমিক ও তাদের নিয়োগকর্তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্হা করবে।
তিনি আরও বলেন, পরিদর্শকদল সব প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করবে এবং এক্ষেত্রে কোন প্রকার শিথিলতা প্রদর্শন করা হবে না। অবৈধ শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
এই পদক্ষেপের কারণে সৌদি আরবের শ্রমবাজারকে একটা নিয়মের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং সৌদি নাগরিকদের জন্য নতুন-নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সব অবৈধ প্রবাসী শ্রমিক এবং তাদের নিয়োগকর্তাদের সাধারণ ক্ষমার বাকি সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বৈধতা নেওয়ার জন্য আবারও আহবান জানিয়েছেন তিনি।