চাঁদপুর:
চাঁদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। এ ক্ষেত্রে চাঁদপুর পৌরসভার তো কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি এমনকি যে সংস্থার জায়গা সে রেল কর্তৃপক্ষেরও কোনো অনুমোদন নেই। তবে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এ বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ নির্বিঘ্নে চলছে।
চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গার মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছিলো বায়তুল আমিন জামে মসজিদ। এ মসজিদটির পুরাতন স্থাপনা ভেঙ্গে আগের জায়গা থেকে আরো সামনে নিয়ে বর্তমানে ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করছে কর্তৃপক্ষ। এর পুরোপুরি কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ তিন তলা মসজিদের সামনের পরিত্যক্ত জায়গায় মার্কেট হবে বলে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন দোকানিরা ঘুরছে দোকান নেয়ার জন্যে। এখানে পাঁচতলা মার্কেট করা হবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ জন্যে এখন সেখানে খুব মজবুত ফাউন্ডেশন দেয়া হচ্ছে। আর এ কাজের ঠিকাদারের দায়িত্বে রয়েছেন চাঁদপুরের ‘মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশন’। এ কনস্ট্রাকশনের কর্মচারী সিরাজুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এখানে ৫ তলা ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। মূল ঠিকাদারের সহকারী বিদ্যুৎ লাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতালেবের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, মূল রাস্তার সামনে থেকে উঁচু সিঁড়ি করা হবে বলে খুব শক্তভাবে ফাউন্ডেশন তোলা হচ্ছে।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহামেদের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমি উক্ত ভবনের কোনো নক্সা অনুমোদন করিনি। পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। তবে এটা শুনেছি যে, এখানে বহুতল ভবনের ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। পৌরসভা থেকে কোনো অনুমোদন দিয়েছে কিনা এটা নগর পরিকল্পনাবিদ বলতে পারবেন। তবে পৌরসভা থেকে অনুমোদন না নিয়ে বহুতল ভবন করলে এটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শামছুদ্দোহার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমিও শুনেছি যে শপথ চত্বর এলাকায় নাকি বহুতল ভবন হচ্ছে। তবে যারা এ কাজটি করছে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। বায়তুল আমিন জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী ও বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম স্টেশনে বুকিং ক্লার্কের দায়িত্বে কর্মরত আবু তাহেরের সাথে আলাপকালে তিনি মার্কেট সম্বন্ধে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, সামনের খালি অংশে মসজিদের জন্য নতুন ৩ তলা ভবন তৈরি করা হবে। আর কখনো যদি রেলওয়ে অফিসারগণ মনে করেন এখানে নিচতলা মার্কেট ও বহুতল ভবন করা প্রয়োজন তখন জনগণই দেখবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা এমএ বারীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, রেলওয়ের জায়গায় মার্কেট হচ্ছে এটা আমার জানা নেই। রেলওয়ের জায়গায় ফাউন্ডেশন দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যায় না। আমাদের রেলওয়ের কানুনগো চাঁদপুরে আছেন। আমি তার সাথে যোগাযোগ করছি। আর যারা মার্কেট নির্মাণের কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।