সারাদেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে প্রভাব পড়েছে চাঁদপুরের জনজীবনে। অবরোধের কারনে চাঁদপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম-কমিল্লার উদ্দেশ্যে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকেই ট্রেনের জন্য চাঁদপুর কোট স্টেশনে যাত্রীরা এসে ভীর জমায়। সকালে কোন ট্রেন না আসলেও দুপুরে চট্রগ্রাম থেকে সাগরিকা ট্রেন চাঁদপুরে এসে চাঁদপুর থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল থেকে দু’একটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও যাত্রী সংখ্যা ছিল নগণ্য। শহরের কিছু সিএনজি ও অটোরিক্সা চলাচল করলেও ভারী যানবাহনের দেখা মিলেনি।
৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় অবরোধ ঘোষণার পর পরই ২০দলীয় ঐক্য জোটের কিছু কর্মী ঘোঘের হাট এলাকায় চাঁদপুরের দিকে আসা একটি সিএনজিতে আগুন দেয় ও ঢিল ছোড়ে। এতে বেশ ককেজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতের মধ্যে রিপ্রেজেনটিব অলকচক্রবর্তী (৪০) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার চিতশী ইউনিয়নের বড়লিয়া গ্রামের মৃতঃ রমেশ চক্রবর্তীর ছেলে।
অন্যদিকে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের ঘোষের হাটের মিয়াবাজর এলাকায় ২০দলীয় ঐক্য জোটের কিছু কর্মী মুখে কালো কাপড় বেঁধে এ পথে চলালচলকরাী সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃর্স্টি করে। তাদের হাত থেকে জরুরী সংবাদ পত্রবাহী বাসও রক্ষা পায়নি। গাড়ী না পেয়ে ভ্যানযোগে রোগী নেওয়ার পথেও তারা বাঁধা দেয়।
অবরোধের প্রথম প্রহরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মী দেখা না গেলেও সকাল ৯টায় কিছু নেতা বিএনপি কার্যালয়ে আসে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি কাযালয় থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল মিছিল করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য-সচিব হযরত আলী, জেলা ছাত্রদল সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম কাজী জুয়েল, আহবায়ক ফয়সাল গাজী বাহার যুবদল নেতা কাদির বেপারী। এছাড়া বেলা ১১টায় বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র নেতারা ৫ জানুয়ারী ছাত্রলীগ কর্তৃক বিএনপির দলীয় অফিস ও জেলার আহবায়ের বাসায় হামলার স্থান পরিদর্শন করেন।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।