ফরিদগঞ্জের কৃতী সন্তান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ নুরুল আমিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফরিদগঞ্জের স্বপ্নের উটতলী-নূরুপুর ব্রীজ অবশেষে নির্মাণ হচ্ছে। সচিব নূরুল আমিন পিআরএল (অবসরপূর্ব ছুটি)-তে যাওয়ার পূর্বে ফরিদগঞ্জবাসীর স্বপ্নের এ ব্রিজের অনুমোদনের কাজটি করে গেলেন। এ সংক্রান্ত ফাইলটি নিয়ে তিনি অনেক কাজ করেছেন।
গতকাল সোমবার সরকারের নতুন অর্থ বছরের প্রথম নিয়মিত একনেক সভায় ১শ’ ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাকাতিয়া নদীর উপর ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ উপজেলার সংযোগ ক্ষেত্র উটতলী গুদারাঘাটে ৫শ’ ৫০ মিটার ব্রিজ নির্মাণে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে করে ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার দুই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ড. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, ফরিদগঞ্জের লতিফগঞ্জ বাজার-উটতলী গুদারঘাট ভায়া মুন্সিরহাটবাজার রাস্তা হয়ে ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ উপজেলার মধ্যকার ডাকাতিয়া নদীর ওপর উটতলী গুদারাঘাটে ৫শ’ ৫০ মিটার ব্রীজ নির্মাণের জন্যে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান ডিও লেটার দেন। এছাড়া চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ও ফরিদগঞ্জের কৃতী সন্তান সদ্য অবসরে যাওয়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ নূরুল আমিন মহোদয়ও নিজ নিজ এলাকার সুবিধাভোগী মানুষের প্রাণের দাবি পূরণে এ সংক্রান্ত ফাইল নিয়ে ব্যাপক কাজ করেন। তাঁদের উভয়ের ঐকান্তিক সহযোগিতায় অবশেষে গতকাল সোমবার সরকারের নিয়মিত একনেক সভায় ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-এর ডাকাতিয়া নদীর উপর উটতলী গুদারাঘাটে ৫শ’ ৫০ মিটার ব্রীজ নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১শ’ ৭ কোটি টাকা অনুমোদন দেন ।
তিনি জানান, ব্রীজের দুই পাড়ে ভূমি অধিগ্রহণ, মূল ব্রীজ, অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে অনুমোদনকৃত ১শ’ ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ব্রীজ নির্মাণের চুড়ান্ত কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এবং মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি ও মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) এমপির এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ নুরুল আমিন মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল এই ব্রীজ।