শওকত আলী ॥
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে মাছ চাষ করায় ঢেউ সৃষ্টি হয়ে ও মাছে বাধেঁর মাটি খেয়ে ফেলায় জনসাধারণের চলাচলের ১ হাজার কিলোমিটার সরকারি খালের রিংবাধ সড়কটি ভেঙে পড়ছে। এতে করে রিংবাধ এলাকার মানুষ যানবাহন নিয়ে এবং এলাকার স্কুল-কলেজ গামী শত-শত শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে যেতেও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল দুপুরে বেড়িবাঁধ এলাকার রঘুনাথপুর, ঢালিরঘাট, ওয়াপদা গেইট, বাগাদী চৌরাস্তা ও নানুপুর এলাকার রিংবাধ ভাঙনের স্থল পরিদর্শন কালে এ দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
রঘুনাথপুর গ্রামের হাজী ফরমান খান বাড়ীর ব্যবসায়ী আনা উল্যাহ খান জানান, তাদের এলাকায় পার্শ্ববতী বালিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী হানিফা ও খোকন কোন প্রকার লীজ না নিয়ে গত ৩ বছর অবৈধ ভাবে মাছ চাষ করছেন। তেলাপিয়া মাছগুলো পাড়ে ঢেউ সৃষ্টি করার কারণে ও মাটি খেয়ে ফেলায় গত বছর থেকে রিংবাধ ভেঙে সরু হয়েগেছে। বাঁধের পাশেই আল-মাদিনা জামে মসজিদসহ বহু সংখ্যক বসত ঘরও এখন ভাঙনের কবলে পড়বে। চাষীদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান বহুবার মাছ চাষ পরিকল্পিত ভাবে করার জন্য বলা হলেও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি।
ঢালীর ঘাট এলাকার মাছ চাষী সাহেব আলী জানান, তাদের সমিতির নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আনা লীজ ২০১৪ সালে শেষ হয়েগেছে। সরকারি এ খাল এখন কাউকে লীজ দিচ্ছে না। পূর্ব থেকে যারা দখলে আছেন, তারাই এখন পর্যন্ত মাছ চাষ করে আসছেন। তিনিসহ ওই এলাকায় আনু বেপারী, ইউপি সদস্য ইছহাক গাজী, সোহেল মিজি, আবু সায়েদ মিজি একই ভাবে মাছ চাষ করে আসছেন। অপরিকল্পিত ভাবে মাছ চাষ করার কারণে পাড় ব্যাপক আকারে ভাঙছে বলেও তিনি জানান।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, সেচ প্রকল্প এলাকায় ১ হাজার কিলোমিটার সরকারি খাল রয়েছে। সকল প্রকার ইজারার মেয়াদ ২০১৪ সালে শেষ। কোন চাষী যেন মাছ চাষ না করে সেজন্য আমরা ওই এসব এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করে দিয়েছি। তারপরও যদি কোন ব্যাক্তি অবৈধ পন্থায় মাছ চাষ করার কারণে রিংবাঁধ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।