চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কি.মি. পর্যন্ত পদ্মা মেঘনা নদীতে মার্চ থেকে এপ্রিল এ দু’ মাস পর্যন্ত সকল ধরণের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষেধ। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা পদ্মা মেঘনায় অবাধে জাটকা ইলিশ নিধন করছে। গত রোববার ও গতকাল সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকতের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদ মোস্তফা ও নৌ পুলিশ অভিযান চালিয়ে পদ্মা মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরার সময় ৭ জনকে আটক করে। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা ৬টায় মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোশারফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে জাহাজমারা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে রাজরাজেশ্বর আব্বাস আলী (৩৫), ফারুক (১৮), লক্ষীরচরের আমজাদ আলী (৩০)কে জাটকা ইলিশ এবং কারেন্ট জালসহ আটক করে। আটককৃত ৩জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ বছরের সাঁজা প্রদান করে।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকতের নেতৃত্বে সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদ মোস্তফা ও নৌ পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজরাজেশ্বর থেকে জাহাঙ্গীর (২৬), সাদেক আলী (৫৮), সিরাজ মোল্লা (৩০), শুক্কুর আলী (৩৫)কে জাটকা ইলিশ ও কারেন্টজালসহ আটক করে। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ দিনের সাঁজা প্রদান করে।
নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোশারফ জানায়, জাটকা ইলিশ নিধন বন্ধের লক্ষ্যে নৌ পুলিশ সর্বদা নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছে। যারা অভয়াশ্রম চলাকালে নদীতে মাছ নিধন করবে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।