প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে যৌতুক, নারী নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাতের মামলা (২টি ওয়ারেন্টভূক্ত) পলাতক আসামী মমিন অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। গতকাল থানার এসআই মোঃ এরশাদ দৌলা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মধ্যবাজার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার রাঁন্ধূনীমূড়া গ্রামের মোঃ মমিনুল হক বিয়ে করার পর বিভিন্ন সময় স্ত্রী কোহিনুর আক্তারকে শশুর বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। এমনকি তাকে নগদ অর্থ এনে না দেয়া স্ত্রী কোহিনুর আক্তারের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো। এতে স্ত্রী কোহিনুর কোন উপায়ন্তর না পেয়ে স্বামী মমিনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে চাঁদপুর দেওয়ানী আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সিআর ৯১/২০০৮। স্ত্রী বাদী মামলা হওয়ার পর মমিন গোপনে প্রবাসে চলে যায়। এরপর তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। দীর্ঘদিন মমিন প্রবাসে থাকার পর ১০/১৫ দিন পূর্বে দেশে আসে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি দুপুর পৌঁনে ১টায় থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মধ্যবাজার থেকে মমিনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও মমিন এলাকার বিভিন্ন লোকদের ভিসা দেয়ার নাম করে অভিনব কায়দায় ১৫/২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই সকল ভূক্তভোগীরা তাদের পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে চাঁদপুর আদালতে (অর্থ দণ্ড আইনে) একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২৪/১৩। এ মামলাও মমিনের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। অর্থাৎ ২টি মামলা মমিনকে আটক করে পুলিশ। পরে গতকাল দুপুর আড়াই টায় চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্আলম চাঁদপুর বার্তাকে বলেন, তার স্ত্রী’র মামলা ও বিদেশে লোক নেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রবাসে থাকা ভুক্তভোগীদের মামলা তাকে আটক করা হয়। সাথে সাথে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।