প্রতিনিধি
অশ্লীল ভাষার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বেদম প্রহারে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ফজরের নেছা নামে এক বৃদ্ধা। তাকে বাঁচাতে এসে কন্যা শাহানারাও আহত হয়। ঘটনাটি গতকাল দুপুরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কেশরাঙ্গা গ্রামে ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের পশ্চিমপাড়া পাল বাড়ির খোকনের স্ত্রী ফুলবানু পার্শ্ববর্তী মোল্লা বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের কন্যা সাজেদাকে খোঁজ করতে যায়। এসময় সাজেদার বৃদ্ধা মায়ের সাথে ফুলবানুর কথা কাটাকাটি হয়। আর এতেই ঘটে আহত হওয়ার ঘটনা। এ ব্যাপারে সাজেদা বাদী হয়ে ৩জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহত ফজরের নেছা জানান, খোকনের স্ত্রী ফুলবানু সবসময় আমার মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। ঘটনার দিন দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে আমার বাড়ি এসে গালমন্দ শুরু করলে আমি তাকে বাধা দেই। ওই সময় আমার কন্যারা বাড়িতে ছিলো না। আমার কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় কন্যাদের নিয়ে একসাথে বসবাস করি। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফুলবানু ও তার কন্যা তাছলিমা আমাকে মারতে শুরু করে। এক সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। অভিযোগের বাদীনি সাজেদা জানান, খোকন আমার প্রতিবেশী ভাই। সে তার বিপদে আপদে আমাদের বাড়ি ছুটে আসে। সে ডেকোরেটরের ব্যবসায় হাত দিয়ে অর্থাভাবে ভূগছিলো। এ সময় সে আমাদের বাড়ি আসে। তার উপকারের স্বার্থে তাকে ব্র্যাক থেকে লোন তুলে দেই। এ টাকা পরিশোধে যখন খোকন গড়মিল করছিলো তখনই বাধে গণ্ডগোল। আর এ সুযোগে তার স্ত্রী ফুলবানু যখন তখন আমাদের গালাগাল করতো। আমাদের দোষ একটাই আমরা কেনো তাকে লোন তুলে দিলাম।
অন্যদিকে খোকনের স্ত্রী ফুলবানু জানান, স্বামী পরিত্ত্যক্তা সাজেদার সাথে আমার স্বামীর চলাচল সন্দেহজনক। লোকমুখে শুনেছি আমার স্বামী সাজেদাকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্বামী সংসার রক্ষার স্বার্থে যা করেছি। এলাকাবাসী জানায়, সম্পর্ক যা-ই থাকুকনা কেনো বয়স্ক মহিলার গায়ে হাত দেয়া ঠিক হয়নি। এ দু’পরিবারের সর্ম্পক দীর্ঘদিনের। অর্থ লেনদেনই এ সম্পর্কে চিঁড় ধরিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা উত্তম বলে তারা মন্তব্য করেন।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।