চট্টগ্রামে বিভিন্ন অঞ্চলে, অফিস-আদালতে, পথেঘাটে, অলিতে-গলিতে এক অতি পরিচিত মুখ, সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন। প্রতিদিনই দেখা যায়, হাতে একটা কালো ব্যাগ, ভিতরে আজকের প্রকাশিত পত্রিকা, পায়ে হেঁটে বিলি করছেন, বিভিন্ন জায়গায়। একহারা ছিপছিপে গঠনের জামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় মানুষের এক অতিপরিচিত মুখ। তাকে দেখলেই জীবনানন্দের সেই বিখ্যাত ছন্দ মনে পড়ে,“হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে”। পরিচিত কারো সাথে দেখা হলেই বলবেন,‘নিন, আজকের পত্রিকাটা প্রকাশিত, পড়ে দেখুন, ভালো লাগবে।” দিয়েই হেঁটে চলে যান অন্য গন্তব্যের দিকে। তাকে দেখে মাঝে মাঝে ভাবি,একটা মানুষের মধ্যে এত আত্মপ্রত্যয়, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা কোথা থেকে আসে? জীবনের কোন কষ্টই কি তাকে স্পর্শ করেনা! জীবনের কোন সুখভোগের লোভ কি তাকে একটু ও টলাতে পারেনা? কি আছে এই পত্রিকায় যার জন্য এমনি করে দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে সংগ্রাম করে যেতে হবে? কেন সে এমন ধনুকভাঙ্গা পণ করে বসে আছে যে, আমৃত্যু সে এই পত্রিকা নিয়েই থাকবে? কার স্বার্থে সে এমনি করে নিজের জীবনটাকে তিল তিল করে ধ্বংস করছে? কখনো কি আসবে সেই শুভদিন যেদিন এই পত্রিকা সকাল বেলাতেই মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে যাবে? দেখা হতেই জিজ্ঞাসা করি, “কেমন আছেন?” একগাল হাসি দিয়ে বলবে, “ভালো, খুব ভালো। একটু ব্যাস্ত। এই যা। পত্রিকা বেরুচ্ছে নিয়মিত, বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে হয়। একা মানুষ, কতদিক সামলাই বলূন?” আজ পনের বছর ধরেই তাকে আমি চিনি। কিন্তু কোনদিনই অন্য কোন উত্তর শুনিনি।বললাম, “কেন, একা কেন, আর লোকজন কই?” বলে,“ওদের কথা আর বলবেন না। সব ফাঁকি বাজ। যেই একটু কাজের কথা বলা হয়, অমনি কাটে। আমিও কিছু বলিনা। কি আর বলবো বলুন। সাথে থাকে। দুঃখী মানুষ। অন্য কোথাও যাওয়ার কি আর জো আছে। শেষ মেষ ঘুরে ফিরে এই অধমের কাছেই ফিরতে হয়।” আসলেও তাই। কারো কষ্ট সইতে পারেনা। সামর্থ্য নেই, তবুও সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যায়, হোক পরিচিত কিম্বা অপরিচিত। কেউ যদি বিপদে পড়ে রাতের দুটা বাজেও বলে যে তার বিপদ, সঙ্গে সাঙ্গে জামাটা গায়ে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। আমাদের এই দুর্ভাগা দেশে এমন ধরনের মানুষের কোন মুল্যায়ন নেই। তার মুখের দিকে চেয়ে কখনো বুঝতে পারিনি যে সে খেয়েছে, না উপোষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন কাজ পাগল মানুষ, অনেক সময় খাওয়ার কথা তার মনেই থাকেনা। কেউ যদি বলে, চলুন, কিছু খাই, তখন বলে ওঠে, তাইতো, সকাল থেকেতো কিছুই খাওয়া হয়নি। হাতে এত কাজ। সবদিক একাই সামলাতে হয়। খাওয়ার সময়টা কোথায়, বলুন? কখনো যদি বলি,“কি হবে এইসব পত্রিকায় কাজ করে, তার চেয়ে বরং অন্য কিছু করুন, অরুত সংসারটা অভাবের হাত থেকে বাঁচবে।” উত্তর দেয়, “ভাই, জীবনের অর্ধেক সময় তো এই নিয়ে কেটে গেল। এখন আর কোথায় যাবো। যে কটা দিন বাকী আছে,এই নিয়েই থাকি। যদি কখনো আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা হয়, হয়তো সুদিন আসতে ও পারে।আর না ও যদি আসে, তাতেই বা কি? মনের মধ্যে এইটুকু সান্তনা আছে, যে অন্তত দুটো পত্রিকার সম্পাদনায় নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কল্যানে প্রচুর কাজ করেছি। কজনের পক্ষে সম্ভব বলতে পারেন? বলি,“সে ঠিক আছে। কিন্তু শুধু পত্রিকার সম্পাদক হয়ে বসে থাকলে তো পেটে ভাত আসবেনা। টাকা পয়সা ও তো কিছু আসতে হবে।” বললো,“ সে না আসুক, কিন্তু কিছু মানুষের উপকার তো করতে পারছি। যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, তাদের কথা লিখছি, সমাজের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারছি। সবচাইতে বড় কথা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করে চলেছি। জানি এই ধরনের কর্মকান্ডে সরকারী সহায়তা পাওয়া যায়, তবে আমার এখনো তেমন সৌভাগ্য হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত গঠনে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছি। কখনো যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারি, হয়তো সরকারী কোন সহয়ায়তা মিলতে ও পারে। এদেশে বেশীর ভাগ সময়ে মরনোত্তর সম্মান পাওয়া যায়। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়তো আমার মৃত্যুর আগেই আমার কর্মের স্বীকৃতি মিললেও মিলতে পারে। অনেক অলৌকিক ঘটনাইতো এদেশে হরহামেশা ঘটছে।” বুঝলাম তাকে বোঝাতে গেলে ফল উল্টো হবে। সেই আমাকে অনেক কথা বোঝানোর চেষ্টা শুরু করবে। এই পত্রিকায় প্রকাশ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রাননাশের অনেক হুমকি এসেছে। এ ব্যাপারে তাঁর কয়েকটি জিডিও করা আছে। এই লোক মোঃ জামাল উদ্দিন। সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম ও দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক। মাঝেমাঝে আশ্চর্য হই, যে এমন সরল সহজ মনের মানুষ কি করে দু দুটো পত্রিকা এত বাধা বিপত্তির মাঝেও নিয়মিত প্রকাশ করে চলেছে, তাও একটি দৈনিক পত্রিকা। ভাবতে গিয়ে আমার মাথা মাঝে মাঝে জ্যাম হয়ে যায়। বুঝতে পারি এই রহস্য ভেদ করা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না। তবে এইটুকু জানি যে, বিভিন্ন পরিচিত জনের সাহায্য সহযোগীতাই তার একমাত্র সম্বল। কেউ হয়তো কোন সংবাদ প্রকাশের জন্য দুয়েকটা বিজ্ঞাপন দিয়ে সাহায্য করে। কেউ হয়তো তার এইধরনের ধৈর্য্য দেখেও সামান্য এগিয়ে আসে। মোট কথা সে চলে যাচ্ছে এবং পত্রিকা ছাড়া অন্য কোন কিছু সে কখনো ভাবতে পারেনা। এই পত্রিকা দুটোই তার ধ্যান-জ্ঞান। বলা যায়, এরা তার সন্তানের মত। শরৎ বাবুর সেই মহেষ গল্পের গফুর চরিত্রের মত। নিজে খেত পেল কি পেলনা, সেটা বড় কথা নয়, পত্রিকা ঠিক মত প্রকাশিত হল কিনা, সেটাই বড় কথা। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, সদ্য ছাপানো পত্রিকায় একটা গন্ধ থাকে, কালির গন্ধ। হয়তো সেই গন্ধ পেয়েই সে তৃপ্ত হয়। ভুলে যায়,সারাদিন তারা খাওয়া হয় নাই। ভুলে যায় ছেলেমেয়েরা খেতে পেল কি না। তার আদি বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার, বিখ্যাত পীর বড় মিয়া সাহেবের নতুন বাড়ির মরহুম আবদুর রব এর ৭ম পুত্র মোঃ জামাল উদ্দিন, বর্তমান ঠিকানা, আজিজ টাওয়ার, আবুল সওদাগর লেইন,ব্যাপারী পাড়া,আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ব্যাক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও দুই পুত্র এক কন্যা সন্তানের জনক জামাল উদ্দিন একজন আদর্শ স্বামী ও পিতা। তাঁর পিতা মরহুম আবদুর রব একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে তিনি সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হলে তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। তাঁর বাবা আবদুর রব মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহন করলেও কখনো মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নেওয়ার চেষ্টাও করেননি। কেননা, তখন যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল তাদের অনেকেই এই ব্যাপারে ততটা আগ্রহী ছিলনা। তারা দেশের বিপদে যুদ্ধ করেছে, এবং শেষ হওয়ার পরে নিজ নিজ কাজে যোগ দিয়েছে। তাঁর সেই অবহেলার কারনেই তাঁ পরিবারের সদস্যরা আজ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁর গ্রামের বাড়ির জায়গা সম্পতিতে তিনি দয়াপরবশ হয়ে তার কিছু দরিদ্র আত্মিয়কে থাকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তারা সেই সম্পত্তির মালিকানা দাবী করছে। অথচ তাঁর সন্তানদের কোথাও এক ফোঁটা নিজস্ব ভুমি বলতে কিছুই নাই। তাঁর পিতা মরহুম আবদুর রবের ৮জন পুত্র সন্তান ও ১ কন্যা সন্তান। যার মধ্যে ৩ জন পুত্র কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েমৃত্যু বরণ করেছেন এবং সম্প্রতি তার একমাত্র কন্যা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু বরন করে। মরহুম আবদুর রবের বাকি সন্তানেরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিগত ৪৪ বছর ধরে,ভাড়া বাসায় দিনাতিপাত করিতেছে।
এম জামাল উদ্দিন ছাত্র জীবনথেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ৯০ এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে লড়াকু সৈনিক হিসাবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন এ দীর্ঘ ৩ মাস চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিলেন। তখন তিনি চট্টগ্রাম এমইএস কলেজের ছাত্র। জেল থেকে বের হলেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুলিশি হয়রানিতে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি সংবাদপত্রের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। প্রবীন সাংবাদিক বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট ও পাক্ষিক সমতল সম্পাদক মুহাম্মাদ আলতাফ হোসেনের অধিনেই তিনি ১৯৯৪ সালে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহন করেন। চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডাঃ মাহফুজুর রহমানের সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক অনুবীক্ষন এর ষ্টাফ রিপোর্টার হিসাবে একটানা ৪ বছর কাজ করেন। এর পর বিগত ২০০০ সালে সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন। এইসময় তার সাথে প্রথম দ্বন্দ শুরু হয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কর্তৃপক্ষের সাথে। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ আলোকিত চট্টগ্রাম নামীয় একটি সাপ্লিমেন্টারি নিয়মিত প্রকাশ করতে থাকে। অথচ এম. জামাল উদ্দিন এর নামে সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম এর সরকারী ছাড়পত্র রয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছর প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সাথে মামলা চলতে থাকে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে মোঃ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে প্রথম আলোর অবৈধ প্রকাশনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করেন যার নং-২৪/১২। ঐ মামলা চলাকালীন সময় থেকেই প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ তাদের সাপ্লিমেন্টারী আলোকিত চট্টগ্রাম প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সাল থেকে মোঃ জামাল উদ্দিন দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা নামে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশনা শুরু করেন। রাতদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনী দিয়ে এম. জামাল উদ্দিন একখানি দৈনিক পত্রিকা ও একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করতে থাকেন। বিভিন্ন অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় বিগত ২০০৬ ইং সালে তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আবার ফখরুদ্দিন সাহেবের তত্বাবধায়ক সরকারের আমালে পুনরায় তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে মামলাটি আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেয়। একটানা ১৪ বছর তিনি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্পাদক এম. জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দুঃস্থ সাংবাদিকদের সহায়তায় বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার ঘোষনা দিলে, এম. জামাল উদ্দিন বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সাহায্যের জন্য আবেদন করলেও কোন এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় তিনি সরকারী সাহায্য থেকে বঞ্চিত হন। অথচ এই সাংবাদিক জামাল উদ্দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের উদ্দেশ্যে তাঁর পুত্র আমিনুল ইসলাম শাওনের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে মাননীয় ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তারিখে মাননীয় জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের মাধ্যমে নগদ ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা অনুদান দেন। শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানেই এম. জামাল উদ্দিন নিজের সংসারের খরচ বাঁচিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে অনুদান দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই তার জীবনের একমাত্র আদর্শ। তাঁর গভীর বিশ্বাস, কোন একটা সময়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারবেন। আর সেই দিন তার মনে কোন ক্ষোভ থাকবেনা। তিনি মনে করেন, তখনই তার জীবনের সকল ত্যাগ তিতিক্ষা সার্থক হবে। অন্য অনেক লোভনীয় পেশার আকর্ষন অস্বীকার করে শত দুঃখ কষ্টের মাঝেও যিনি তার পেশা থেকে চুল পরিমান ও বিচ্যুত হননি, এই সংগ্রামী সম্পাদক এম. জামাল উদ্দিন আজ বড় ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত। জীবনকে তিনি কতটা দিয়েছেন, জীবন তাকে কতটা ফিরিয়ে দিল, সেই হিসাব কিছুতেই মিলছেনা। আরেকটু সামান্য সহায়তা পেলেই হয়তো এম. জামাল উদ্দিন এক বিশাল প্রতিষ্ঠানে রুপ নিতে পারে। ভালো টাকার বিনিময়ে পত্রিকার মালিকানা হস্তান্তরের অনেক প্রস্তাব তাঁর কাছে রয়েছে। কিন্তু তাঁর এক কথা, একটি মহৎ আদর্শ প্রতিষ্ঠায় যে সন্তানের জন্ম আমি দিয়েছি, যারা এর ভার নিতে চায়, তারা কি সেই আদর্শে অটল থাকবে? তারা যদি সেই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে একে অন্য ধারায় চালিত করে, তবে একি আমার জীবনের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবেনা? বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অসাম্প্রদায়িক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে এই রাষ্ট্রের হাল ধরে আছেন, তেমনি আমিও সেই একই আদর্শ বাস্তবায়নে সামান্য একটা পত্রিকার হাল ধরে থাকতে পারবোনা? তবে ধিক্্ আমাকে। পৃথিবীতে সবকিছু কেনা বেচা হলেও আদর্শ কখনো বিক্রয় হয়না। জীবন দিয়ে হলেও আমি এটা প্রমান করবো।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।