ইদানিং আলোচিত শহরের ঘোষপাড়া সংলগ্ন আদর্শ মুসলীম পাড়ার এডভোকেট সানজিদা আক্তারের মেয়ে মহিলা কলেজ ছাত্রী ঐশী এখন আদালতের নির্দেশে অনুযায়ী টঙ্গীর শিশু-কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে সেভ কাষ্টুরীতে পাঠানো হয়েছে। ঐশীকে উদ্ধারের পর আদালতে নারী নির্যাতন আইনে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার পর ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন হয়।
ঐশী আদালতে জবানবন্দিতে জানায়, অপহরণ নয়; সে স্বেচ্ছায় প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছে। প্রেমের ঘটনাটি মা-বাবা মেনে না নেয়ায় গত গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় তার প্রেমিক একই পাড়ার সাইদুল ইসলাম মিয়াদ (২০)-এর হাত ধরে প্রথমে কুমিল্লায় চলে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মোহাম্মদদপুর বন্ধুর বাসায় অবস্থান করে। ঘটনার পর দিন ঢাকায় আদালতে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিয়ে শেষে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয়। গত বুধবার আদালতে নেয়ার পর বিজ্ঞ সিনিয়র চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাসরুর সালেকিনের কাছে সে এ জবানবন্দি পেশ করে। এ সময় আদালত তার বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাকে ঢাকার টঙ্গী শিশু কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে সেভ কাষ্টুরীতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার মাইক্রোবাস যোগে ঐশীকে ঢাকা টঙ্গী নিয়ে যায়। এদিকে অ্যাডভোকেট সানজিদা আক্তার তার মেয়েকে নিজ জিম্বায় নিয়ে অপহরণের ঘটনা নাটকিয়ভাবে সাজিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। অবশেষে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও আদালত ঘটনাটি বুঝতে পেরে ঐশীর জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশের সেভ কাষ্টুরীতে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে অপহরণ মামলায় ঐশীর প্রেমিক সাইফুলের ফুফাত ভাই আটক নান্নু রাঢ়ীর বর্তমানে নিরপরাধ হয়ে জেলহাজতে ভুগছে।