মিজান লিটন
৪ জুন নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসলেও আইনী জটিলতায় এখনো চাঁদপুর জেলা ও জেলার আট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ঘুরপাক খাচ্ছে। এ নির্বাচনের উপর আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আজ রোববার আপীলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ শুনানির পর যে আদেশ আসবে তার উপর নির্ভর করবে নির্বাচন নির্ধারিত তারিখে হবে কি হবে না।
এদিকে নির্বাচনের ৩টি প্যানেলের মধ্যে দুটি প্যানেলের প্রার্থীরা অবিরাম নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর প্যানেল অপেক্ষা করছে আদালতের আদেশের জন্য।
কেন্দ্রীয় সংসদ সহ সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন একযোগে ৪ জুন ২০১৪ হওয়ার কথা রয়েছে। চাঁদপুর জেলার নির্বাচন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে জেলা সহকারী জজ আদালতে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করেন আঃ মান্নান মিয়া নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বক্তব্য, ভোটার হালনাগাদ না করে নির্বাচন সঠিক হবে না। কারণ বর্তমান ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারের নাম রয়েছে এবং একই ব্যক্তি দু জায়গায় ভোটার। আদালত এ আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি নির্বাচনের উপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। যেহেতু নির্বাচন পরিচালনা করছে সরকার, তাই সেই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকার পক্ষ একই আদালতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আপীল করে। সম্প্রতি সহকারী জজ আদালত পূর্বের স্থগিতাদেশই বহাল রাখার আদেশ দেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার সরকার পক্ষ তথা রিটার্নিং অফিসার পুনরায় জেলা জজ আদালতে আপীল করেন। এ আপীলের শুনানির দিন ধার্য হয় আজ রোববার। জেলা জজ আদালতের আজকের শুনানির পর রায়ের উপর নির্ভর করছে ৪ জুন নির্বাচন হবে কি না।
জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার থেকে কোনো আদেশ দেয়া হয়নি বলে নির্বাচনের পক্ষে থাকা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রার্থী এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। তারা ৪ জুন নির্বাচন হবে বলে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে ৩টি প্যানেল ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছে। প্যানেল তিনটি হলো : এমএ ওয়াদুদ-হাফিজ খান-রঞ্জিত চাকি পরিষদ, শাহাদাত হোসেন সাবু-সিরাজ বরকন্দাজ পরিষদ ও হানিফ-আহমেদ উল্লাহ-বাসার পরিষদ।