আগামীকাল ১১ জানুয়ারি শনিবার সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড)। এদিন চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী মোট ৩৭০৭৯ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ২৯১২৪৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সরকার গৃহীত এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গতকাল ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পাইন ২য় (রাউন্ডের) সফলতা কামনা করে এর সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, এ কার্যক্রম থেকে যাতে একজন শিশুও বাদ না যায় সে ব্যাপারে সকলকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, শিশুর শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে। ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে সকলকে জ্ঞাত করার জন্যে সাংবাদিকদেরকে অনুরোধ জানান।
বক্তব্যে সাংবাদিকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন যেভাবে প্রচার পাওয়া দরকার সেভাবে প্রচার হয় না। বিশেষ করে জুমার নামাজের সময় এ বিষয়ে মসজিদে মসজিদে প্রচার প্রচারণা করার কথা বলা হলেও মসজিদের ইমাম বা খতিবগণের অনেকেই তা একদমই প্রচার করেন না। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আমাদের শিশুদের জন্যে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ মসজিদের ইমামগণের তা প্রচার করতে কেন এতো অনীহা তা আমাদের বোধগম্য নয়। সাংবাদিকগণ জাতীয় ভিটামিন কর্মসূচির সফলতা কামনা করে এর প্রচার প্রচারণার জন্যে প্রচার মাধ্যমকে বেশি করে এর সাথে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে সিভিল সার্জনকে পরামর্শ দেন এবং জুমার নামাজের সময় মসজিদের ইমামগণ যাতে এর কার্যক্রম তুলে ধরে মুসলি্লদের অবহিত করেন সে ব্যাপারেও তারা কথা বলেন। সাংবাদিকগণ আরো বলেন, অনেক কেন্দ্রেই দেখা যায় দুপুরের পর কোনো স্বাস্থ্যকর্মী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্যে থাকে না। এমনটা যাতে না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখার জন্যে সিভিল সার্জনের প্রতি অনুরোধ জানান। সাংবাদিকদের মাঝে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি রোটাঃ কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, বিএম হান্নান, প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, মির্জা জাকির, লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধরসহ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
১১ জানুয়ারি ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদেরকে নীল রংয়ের (১ লক্ষ আইইউ ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদেরকে একটি লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আইইউ) খাওয়ানো হবে। কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জেলার মোট ২৩৩৯টি কেন্দ্রে ৫৬৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী, ৪৮০ জন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, ৩ হাজার ৬৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবক কর্মী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।