আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহঙ্কারে মহিমান্বিত ফেব্রুয়ারি। রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা চিরউজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনন্য এ ইতিহাসের আজ একষট্টি বছর পূর্তি হচ্ছে। আজ মহান শহীদ দিবস। মাতৃভাষা রক্ষায় বুকের রক্ত ঢালার দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও আজ। সাহস, প্রত্যয় আর উদ্দীপনায় সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আজ সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একুশ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলাদা বাণীতে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আজ ভোরের আকাশ-বাতাস বিষণ্ন করে কোটি কণ্ঠে বেজে উঠবে—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই গানের করুণ সুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে যাবে লাখো মানুষের প্রভাতফেরি। সব পথ আজ মিশে যাবে শহীদ মিনারের দিকে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। রক্তস্নাত গৌরবের একুশের সুর দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৃথিবীর ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণে অনুরণন তুলবে। একুশ আজ বিশ্ব সভ্যতা ও ঐতিহ্যেরও অংশ। এ জাতির প্রতিবাদ, বিদ্রোহ, সংগ্রামের দিনটিকে বিশ্ববাসী তাদের মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করবে। এ অনুভূতি, উপলব্ধি একুশের প্রতি জাতির আবেগকে করে আরও প্রসারিত; শ্রদ্ধা ও প্রীতিকে করে গভীরতর। একুশের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিনের প্রথম প্রহর গত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ফুল নিয়ে অগণিত মিছিল যাওয়া শুরু হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ফুলে ফুলে ভরে উঠে শহীদ মিনারের বেদি।
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরে থাকায় তার পক্ষে দলের শীর্ষ নেতারা একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা অঙ্গনের বিশিষ্টজন শ্রদ্ধা জানান। এরপর শহীদ মিনার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।