বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাংসদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সকলের শ্রদ্ধেয় অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলামের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ ১১ অক্টোবর মরহুম অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলামের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ মাগরিব পুরাণআদালত পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানিয়েছেন মরহুমের মেঝো ছেলে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
মরহুম অ্যাডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ১৯৩৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন চরকুমিরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা ছানাউল্যাহ্ পাটোয়ারী। তিনি ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। শিক্ষাগত ও পেশাগতভাবে এবং সাংগঠনিকতায় তিনি বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। তিনি ১৯৫০ সালে বাকিলা হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তারপর তিনি ভর্তি হন মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে। এ কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ১নং টেকনিক্যাল স্কুল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা লাভ করেন। তিনি ইংল্যান্ডের হলটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং- পাকিস্তানীদের মধ্যে প্রথম এবং কমনওয়েলথ দেশ সমূহের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেন। তিনি করাচী থেকে বিএ পাস করে এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৫ সালে কুমিল্লা বারে এবং চাঁদপুর বারে অ্যাডভোকট হিসেবে যোগদান করেন।
অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত সমৃদ্ধময়। তিনি ১৯৬৪ সালে ফরিদগঞ্জ থানা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তারপর ১৯৬৫ সাল থেকে ২৩ বছর যাবৎ প্রথমে মহকুমা আওয়ামী লীগ এবং পরে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন বলিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংগঠনিক চাঁদপুর জেলা সংগ্রাম কমিটিতে একটি মিনিস্ট্রিয়াল ক্যাবিনেটে রূপ দেয়া হয়। অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম ছিলেন এ ক্যাবিনেটের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৮ সালে তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্বে আসীন হন এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নিরলসভাবে এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দু’ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন প্রাদেশীক পরিষদে সংসদীয় আসন ২৬৫ কুমিল্লা ২৫ হতে এবং ২০ জুলাই ১৯৭৫ উপ-নির্বাচনে সংসদীয় আসন ২৬৫ কুমিল্লা ২৫ হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রেও তিনি সফলতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ৬ বার চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২ বার সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। শিক্ষার উন্নয়নে এবং সামাজিক কর্মকা-ে তিনি বিরাট ভূমিকা রাখেন। তিনি চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সভাপতি ছিলেন এবং চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ফরিদগঞ্জ কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধা শুরুর পেছনে তার ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়।
শিরোনাম:
শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।