চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
আজ ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে জেলেদের মাছ ধরা। ইলিশ অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা সময় শেষ হওয়ায় পদ্মা-মেঘনায় জেলেরা পুনরায় মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুত। চাঁদপুরে ৪৬ হাজার ২শ’ ৫০ জন জেলে রয়েছে। তারা এখন থেকে বৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারবে।
ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ দু’মাস চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অংশ বিশেষ ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় সকল প্রকার জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচি যথা নিয়মে পালন করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানান, ইলিশ অভয়াশ্রমে আইন ভঙ্গের কারণে এ বছর ২৯০ জন মৎস্যজীবীকে জেল দেয়া হয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স ১শ’ ৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখায় চাঁদপুর জেলার ৪টি উপজেলার ৪১ হাজার ৪২ জন জেলেকে ভিজিএফ কার্ড প্রদান করে মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন এ ৪ মাস প্রত্যেক জেলেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৮ উপজেলা থেকে ১০০ জন করে মোট ৮শ’ জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থান উপকরণ হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ও সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি উপজেলাভিত্তিক এই কাজটি করবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, যেহেতু অভয়াশ্রমের সময় শেষ হয়েছে, এখন বৈধ জাল দিয়ে জেলেরা নদ-নদীতে মাছ শিকার করতে পারবে। তবে কারেন্টজাল, চাঁই দিয়ে পাঙ্গাশ, নদীর পাড়ে রেণু নিধনে গুচি জাল, বেহেন্দি ও বাঁধাজাল মৎস্য আইনে ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং আইনত দ-নীয় অপরাধ।
এদিকে সরজমিনে চাঁদপুর মেঘনা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ শিকারের জন্য বড় জেলে নৌকা ও ফিশিংবোট প্রস্তুত করা হচ্ছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার সিআইপি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সাখুয়া খালের মৎস্যজীবী আকবর খা, শাহ্ আলম বেপারী জানায়, ‘নতুন করে নৌকা ও জালে ১ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন ওকে কইরা লইছি, আল্লাহ বাঁচায় ১ তারিখ গাঙ্গে যামু।’ হরিণা, বহরিয়া, বড়স্টেশন, আখনেরহাট, হাইমচর ও চাঁদপুর সদর এলাকার চরাঞ্চলের বড় বড় জেলে নৌকাগুলো ঠিকঠাক করার কাজ চলছে। যাদের প্রস্তুতি শেষ তারা আজ নদীতে মাছ ধরতে যাবে।