আজ সোমবার থেকে হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার মধ্যে থাকা সকল দোকানপাট, বিপণী
বিতানসহ ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে এই আদেশ জারি করেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম
মাহবুব উল আলম লিপন। আদেশটি তিনি তার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে
দিয়েছেন। তবে আদেশের বাইরে থাকবে ঔষধ ও মুদি দোকান।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে হাজীগঞ্জ
উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, পৌরসভা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ
করে। কিন্তু কিছুতেই মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে হাজীগঞ্জ
বাজারে পুলিশের লাঠিচার্জসহ একাধিক দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা
হচ্ছে। কিন্তু মানুষজন কিছুতেই লকডাউন মানছে না। উল্টো ঈদের মার্কেটিং
ইতিমধ্যে জমে উঠেছে হাজীগঞ্জ বাজারে। ঈদ মার্কেট করতে আসা নারী-পুরুষকে
সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। এতো কিছুর পরেও মানুষের
সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে সড়কে চলাচল করছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ ব্যাটারি
চালিত অটোবাইক ও রিকশা। এদিকে হাজীগঞ্জে বেশ ক’জন করোনা রোগী রয়েছে।
এমতাবস্থায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন এগিয়ে এসেছেন
অন্তত হাজীগঞ্জ পৌরবাসীকে ঘরমুখী করতে। গত রোববার বিকেলে তিনি নিজে এ
বিষয়ে পৌর পরিষদ ও থানা পুলিশের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন। সোমবার থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পুরো পৌর
এলাকায় তথা হাজীগঞ্জ বাজার, বলাখাল বাজার ও তৎসংলগ্ন পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের
মধ্যে থাকা সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান, ছোট-বড় সকল ধরনের মার্কেট
কিংবা দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে আগের মতো মুদি দোকান আর ঔষধের দোকানগুলো
খোলা খাকবে। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান ও
স্বাস্থ্যবিধি পালন সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র
লিপন। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা
হবে।
এ বিষয়ে মেয়র আসম মাহবুব আলম লিপন বলেন, আজ সোমবার সকাল থেকে আমি নিজে
বাজারে অবস্থান করবো। আমাদের সাথে পুলিশ প্রশাসন থাকবে। কেউ নির্দেশ অমান্য
করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।