দেলোয়ার হোসাইন॥
আজ ১০ই মহররম ১৪৩৬ হিজরী “আশুরা দিবস”। আরবীতে “আশারা” শব্দের অর্থ দশ, সেখান থেকে আসছে “আশুরা” অথ্যাৎ আরবী বর্ষের দশম দিন। দিবসটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গাম্ভীর্যপূর্ণ ও বেদনাময়। ৬১ হিজরীর ১০ই মহররম কারবালার ময়দানে হজরত হুসাইন (রাঃ) ও ইয়াজিদ বাহিনীর মধ্যে এ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। এ যুদ্ধের ঘটনায় যারা কাজ করেছে, তারা ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে মুসলানবেশী মুনাফিক ও ইতিহাসের পাতায় ষড়যন্ত্রকারী। এজন্য ইসলামের ইতিহাস কারবালার ঘটনাকে ইসলামের হাজারো করুন ও হৃদয়বিদারক ঘটনার একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে। দিনটিতে অনেক মুসলমান সুন্নত হিসেবে রোযা পালন করে থাকেন। এ দিনটি এবং তার আগের ও পরের দিন সহ মোট তিনটি রোজা রাখা সুন্নাত। ইসলামের প্রাথমিক যুগে শুধুমাত্র সাহাবাগন এ দিনটিতে ১টি রোযা রাখতেন। কিন্তু তখনকার মক্কার মুশরিকদের মধ্য থেকে কিছু লোক নিজেদেরকে ইব্রাহীম (আঃ) এর অনুসারী হিসেবে উল্লেখ করে ১দিন রোজা রাখতো। এতে করে মুসলমানদের রোজার সাথে তাদের রোজা তথা ইবাদত মিলে যাতে না যায় সেজন্য রাসূল (সঃ) দিবসটি সহ, দিবসটির আগে কিংবা পরে মিলিয়ে ৩টি রোজা রাখার কথা বলেছেন। তবে দিবসটির কারবালার কলঙ্কজনক ইতিহাস আজো সচেতন মুসলমানদের হৃদয়ে ব্যাথার সৃষ্টি করে। কেননা এখনো সমাজে মুসলমানবেশী কারবালার ইয়াজিদ অনুসারী বিশ্বাসঘাতকেরা ইসলাম তথা মুসলমানদের সার্বভৌমত্বের অবস্থানটুকো নষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত। তবে কারবালার বিশ্বাসঘাতকদের অনুসারীরা মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় সহ সকল বিষয়ে ঐক্য সৃষ্টি হলে চক্রান্তকারীদের কখনই সফল হবে না।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।