জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে চাঁদপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বিল্লাল হোসেন মিয়াজীসহ ৪ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীকে আদালতে প্রেরণ করেছে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিনে ও রাতের অভিযানে পুলিশ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, পুরাণবাজার থেকে যুবদলের কর্মী মেহেদী মলি্লক (২৮), কাঁচা কলোনীর রুবেল (৩০) ও বিষ্ণুদীর ফারুক গাজী (৩৫)কে আটক করে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ। এ তথ্য মডেল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই পলি মজুমদার জানিয়েছেন।
এদিকে ফরিদগঞ্জ থেকে গতকাল বুধবার আরো ৬ জনসহ এ তিনদিনে বিএনপি-জামায়াতের ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান চাঁদপুর কণ্ঠের ফরিদগঞ্জ ব্যুরো প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী। এ উপজেলার আটক উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন ও মোক্তার হোসেন। এছাড়া অন্যান্য উপজেলা এবং পৌর এলাকা থেকেও অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গত তিনদিনে বিএনপি-জামায়াতের ৭০ জন আটক হয়েছে বলে জানান জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডঃ সলিমউল্লাহ সেলিম। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ছাড়াও আটক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন : জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান, চাঁদপুর শহর জামায়াতের সাবেক আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মোঃ শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদির বেপারী, চাঁসক ছাত্রদল সভাপতি জিয়াউর রহমান সোহাগ ও পৌর যুবদল নেতা আবুল কালাম।
এদিকে রায়কে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলছে। জেলা প্রশাসনের অনুরোধে চাঁদপুরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দলের সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকেও দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকতে বলে বলা হয়েছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বিএনপি সুশৃঙ্খল দল। ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী হতে দেবো না’ এ শ্লোগানে আমরা আমাদের কর্মসূচি পালনে রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকবো।