১৪৩৫ হিজরি সনকে বিদায় জানিয়ে আকাশে উদিত হলো ১৪৩৬ হিজরি নববর্ষের মহররমের চাঁদ। বাংলা বা ইংরেজি নববর্ষের আগমনে আমাদের দেশে বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু মুসলমানদের জন্য হিজরি নববর্ষ অত্যন্ত তাৎপয্যপূর্ণ হওয়া শর্তেও, এদিনটি উদযাপনে তেমন কোন কর্মসূচি সচারচর চোখে পড়ে না আমাদের দেশে।
১৪৩৫ হিজরি চলে গেলো অনেক ঘটনার স্মৃতি নিয়ে। এলো নতুন বছর ১৪৩৬ হিজরি। এ সনটি দুর্দশা দূর করবার তাকিদ নিয়ে পৃথিবীর বর্তমান প্রায় ২২৫ কোটি উম্মতে মুহম্মদীর সামনে উপনীত হয়েছে। আমরা এই নববর্ষকে জানাই খোশ আমদেদ। চন্দ্র বর্ষপঞ্জিকানুযায়ী প্রতিবছর জিলহজ্জ মাসের শেষ দিনের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিামাকাশে মহররম মাসের নতুন চাঁদ উদিত হয়ে হিজরি নববর্ষের আগমন বারতা ঘোষণা করে। হিজরি সনের গোড়াপত্তন হয় প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা মুকাররামা থেকে মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরতের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য।
৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল প্রিয় নবী (সা.) মদিনায় হিজরত করেন। তখন থেকেই হিজরতের প্রথম বছর, দ্বিতীয় বছর এমনিভাবে বছরের হিসাব করা হচ্ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তদানীন্তন আরব দেশে বার মাসে বছর হওয়ার রীতি প্রচলিত থাকলেও নির্ধারিত কোনো সন বা বর্ষপঞ্জির হিসাব ছিলো না।
হিজরতের ১৭ বছর পর ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে হিজরি সনের প্রবর্তন হয়। ৬২২ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসে হিজরতের ঘটনা ঘটলেও আরবের প্রচলিত মাসগুলোর ক্রম ঠিক রাখার জন্য প্রথম মাস মহররমের এক তারিখ থেকেই এই নতুন সাল গণনা নির্ধারিত হয়। ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে হিজরি সন প্রবর্তন করেন হযরত উমর ফারুক রাদি’আল্লাহু তা’আলা আনহু।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের বাংলা সালটিও হিজরি সালকে ৯৬৩ হিজরিকে প্রথম বছর ধরে সৌরগণনায় এনে মুগল স¤্রাট জালালুদ্দীন মুহাম্মদ আকবরের আমলে প্রবর্তিত হয়। হিজরি সনের প্রতিটি মাস গণনা শুরু হয় চন্দ্র উদয়ের সময় থেকে
শিরোনাম:
শনিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৩ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।