‘কন্যা মানেই বোঝা নয়, করবে তারা বিশ্ব জয়’ শ্লোগান নিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস।কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দিবসটি পালনের কার্যক্রমে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেছেন, আমাদের কন্যাশিশুরা আগামী দিনের সম্পদ। তারা আমাদের কন্যা-জায়া-জননী। তাই তাদের নিরাপদে বেড়ে ওঠা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষা করা অত্যাবশ্যক। কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানসহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন, নীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণসহ তাদের শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী রূপে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে, কন্যাশিশুরা যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি, মানসম্মত শিক্ষা ও নিরাপত্তা পায়, তবে তারা উপার্জনক্ষম এবং স্বাবলম্বী নারী হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবে। আসুন দিবস পালনকে কেন্দ্র করে আমাদের কন্যাশিশুর অধিকারকে সমুন্নত এবং তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় সচেতন হই। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেছেন, শিশু অধিকার রক্ষায় প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় শিশু নীতি। কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তাদের সুরক্ষার জন্য দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কিশোরী ক্লাব। শিশু-বিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে কন্যাশিশুর সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে গত সাড়ে চার বছরে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আগামী দিনের বাংলাদেশের কন্যাশিশুদের নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সমসুযোগ প্রদানে এগিয়ে আসার জন্য আমি সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকলকে আহ্বান জানাই।দেশে কন্যাশিশুদের নিয়ে কাজ করে প্রায় ১৬২টি সংগঠন। এসব সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। দিবসটি পালনে কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহের কুফল, কন্যাশিশুর সুরক্ষা, কন্যাশিশুর পুষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। সকাল ১০টায় শাহবাগ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শেষ হয় শিশু একাডেমীতে। শিশু একাডেমীতে এ বিষয়ে আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আরও সংবাদ
বিশ্ব ইজতেমায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ মালয়েশিয়ান ইবিট লিও
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন, মালয়েশিয়ার ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ইবিট লিও। বিশ্ব... বিস্তারিত
পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ২০-৩০ টাকা
দেশে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ এরই মধ্যে ঘরে তুলেছেন কৃষক। মূল মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে... বিস্তারিত
রমজান মাসে প্রাথমিকে ক্লাশ ১০ দিন, মাধ্যমিকে ১৫…
আগামী রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত... বিস্তারিত
পরকীয়ায় নাশ সংসার
দেশে বিয়ের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকও বেড়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের প্রধান দুটি... বিস্তারিত
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।