চাঁদপুরে আজ আরো ৪২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪০ জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। হাজীগঞ্জের ইউএনও সহ ২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
করোনায় আক্রান্ত ৩৭ বছর বয়সী অপর যুবকের বাড়ি হাজীগঞ্জে উপজেলা শহরে। এখনো তিনি নিজ বাড়িতে আছেন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) ডাক্তার তার বাড়িতে যেয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন ওই যুবক হাসপাতালে নাকি বাসায় চিকিৎসা নিবেন।
এ নিয়ে চাঁদপুর জেলার মোট ২৯৫জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট নুমনা প্রেরণ করা হয়েছে ৩০৬জনের। প্রেরিত নমুনার মধ্যে এখনো অপেক্ষমান ১১ জনের রিপোর্ট। এছাড়া বুধবার সংগৃহীত আরো ১৭জনের নমুনা আজ (বুধবার) ঢাকা প্রেরণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষমান রিপোর্টের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮ টি।
প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
এছাড়া ঢাকায় সনাক্ত হওয়া ১জন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি থাকায় বর্তমানে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ জন।
মৃতের বাইরে আক্রান্ত অন্য ১৫জনের মধ্যে ২জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এর মধ্যে একজন মতলব উত্তরে জেলার প্রথম সনাক্তকৃত করোনা রোগী ও অন্যজন ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার।
আক্রান্ত অন্য ১৩জনের মধ্যে ৪জনের পরবর্তী রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আরেক দফা তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তারা করোনামুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।