মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার সাদেক আলী বেপারীর পুত্র বজলু গণি বেপারীর সম্পত্তি বিএস রেকর্ড অন্য আরেকজনের নামে তুলে বিক্রির পাঁয়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী মৌজার ২১৭/১ নং খতিয়ানভুক্ত ১৫৯, ১৬০, ১৮৯, ১৯২, ৭৫৫, ৭৫৪, ৭৫৭ সিএসমূলে সাদেক আলী বেপারী গং সম্পত্তির মূল মালিক। পরবর্তীতে আরএস খতিয়ানে সাদেক আলী গংয়ের ওয়ারিশ অর্থাৎ তার পুত্র বজলু গণি বেপারীর নামে আরএস খতিয়ানভুক্ত হয়।
বজলু গণি বেপারী সাদাসিধে একজন মানুষ এবং এলাকায় কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তার ঘরে ৬ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। দরিদ্রতার কারণে এ বিশাল সংসারে আয়ের উৎস খুঁজতে গিয়ে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এ সম্পত্তির তিনি বিএস রেকর্ড করতে পারেননি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় নূর ইসলাম সর্দার গং বজলু গণি বেপারীর সাথে প্রতারণা করে তার সম্পত্তি নূর ইসলাম সর্দার গংয়ের নামে বিএস রেকর্ড করায়। আর এই বিএস রেকর্ডকে দেখিয়ে প্রতারক নূর ইসলাম সর্দার গং সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য ক্রেতা নির্ধারণ করে। সেই মোতাবেক স্থানীয় অসাধু দলিল লিখককে দিয়ে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করতে গেলে বজলু গণি পরিবারের সদস্যরা এতে বাধা প্রদান করে। এই নিয়ে বজলু গণির বেপারীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই সম্পত্তি যেনো বিক্রি করতে না পারে এজন্য একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করে। যার নং-১০৫৩/২০১৪। এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা সম্পত্তি ক্রয় করে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত নূর ইসলাম সর্দার গং স্থানীয় ভূমিদস্যুদের নিয়ে কিছুদিন পূর্বেও সরকারি সম্পত্তি এবং একটি খাল ভরাট করে বিক্রির পাঁয়তারা করে। এ নিয়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকাগুলোতে লেখালেখি হলে তারা পিছু হটে।
এলাকাবাসীরা জানায়, নূর ইসলাম সর্দার গং এলাকার চিিহ্নত ভূমিদস্যু এবং প্রতারক হিসেবে বেশ পরিচিত। তারা অসহায় নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করে এবং কিছু কিছু সম্পত্তির ভুয়া বিএস করে বিক্রি করার চেষ্টা করে আসছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে যে, সম্পত্তিটির সিএস, আরএস মূলে এবং পৈত্রিকসূত্রে মালিক একজন সেটিকে বিএস খতিয়ানে ভুল দেখিয়ে আর একজনের নামে করে বিক্রির জন্য দলিল লিখকদের কাছে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর শুধু বিএস খতিয়ান দিয়ে জায়গা বিক্রি হয় এটি জনগণ শুনে আশ্চর্যবোধ করেন। যে দলিল লিখক সিএস, আরএস না দেখে শুধু বিএস দিয়ে দলিল লিখিয়ে বিক্রির ব্যাপারে সহযোগিতা করেন তার উপযুক্ত শাস্তিও দাবি করেন।
উল্লেখ্য, দরিদ্র বজলু গণি পরিবারের সদস্যদের মধে দু’একজন প্রতিবন্ধীও রয়েছেন। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন জনগণের দাবি, শুধুমাত্র বিএস খতিয়ান দিয়ে ষড়যন্ত্রকারী নূর ইসলাম সর্দার গং যেনো হতদরিদ্র এই পরিবারটির সম্পত্তি গ্রাস না করতে পারে সেই বিষয়টি দেখবেন, পাশাপাশি আইনের প্রতি সকলেই শ্রদ্ধাশীল সেই মতে আদালতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও সকলের জানা উচিত এবং এই নিষেধাজ্ঞার পরও যদি সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয় তাহলে প্রকৃত বিচার যেনো করা হয় এ আহ্বান জানান।
শিরোনাম:
শনিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৩ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।