গৃহকর্মী আদুরীর রক্ত শূণ্যতাসহ ৪টি গুরুতর সমস্যা শনাক্ত করেছে ঢাকা মেডিকেল বোর্ড। সোমবার বিকেল থেকে তার শরীরে রক্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম।
তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ড আদুরীর সিটি স্ক্যানসহ ১৩টি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করেছে। এতে তার রক্ত শূণ্যতা, মাথার হাড় ফাটা পাওয়া গেছে। পেটে পানি জমে পেট ফুলে গেছে। লিভার বড় হয়ে গেছে এবং ইউরিন ইনফেকশন হয়েছে। বিকেলে তার শরীরে রক্ত দেয়া হবে।
এদিকে নির্যাতনের দায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদী। পুলিশ হেফাজতের থাকা নওরীন নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনায় কাঁদছেন।
তিন দিনের রিমান্ডে শনিবার থেকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার এন্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সিনিয়র এসি মেরিনা সুলতানা জানান, নওরীন নির্যাতনের কথা স্বীকার করছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রথম দিকে আদুরীকে হালকা নির্যাতন করতেন তিনি। পরে আস্তে আস্তে নির্যাতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এক সময় আদুরীরর ওপর চরম নির্যাতন শুরু করেন তিনি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ক্যান্টনম্যান্ট এলাকার একটি ময়লার স্তূপ থেকে অচেতন অবস্থায় আদুরীকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতনের পর তাকে মৃত ভেবে ফেলে রাখা হয়েছিল সেখানে।
পরবর্তীতে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার পরিচয় মেলে আদুরীর। ওই রাতেই পল্লবীর সাগুফতা বাড়ির দুই তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে নওরীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।