চাঁদপুর পুরানবাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাধারন মানুষের বেশকিছু ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর ও লুট হয়েছে। সংর্ঘষ চলাকালীন সময়ে প্রায় ৩০ জন মহিলা পুরুষ আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, পুরানবাজার বউ বাজার এলাকার বাক সিরাজের ছেলে সেলিমের সাথে কবরস্থান রোড এলাকার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর খন্দকারের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত রোববার দু গ্রুফের সংঘর্ষ হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে উভয় গ্রুফ দেশীয় অস্ত্র-ককটেল নিয়ে স্ব স্ব এলাকায় জরো হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় উসকানিমূলক কথার জের ধরে ফের বেধে যায় সংঘর্ষ। রক্তক্ষয়ী এ সংর্ঘষে প্রায় ৩০ জন মহিলা পুরুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে মিঠু নামে এক যুবকের চোখে ও মাথায় মারাত্মক জখম হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা রেফার করা হয়েছে। এদিকে হামলা চলাকালীন সময়ে নিরপরাধ মানুষের ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, মিন্টু(২৫),সিন্টু(৩০), সোহেল(১৮),মুরাদ(১৯),খাজা আহম¥দ(৩৫),জাহাঙ্গীর(২৫),মিজান(২২),আকাশ দাস(২০),সুমন (১৮),মাসুদ।
এ ব্যপারে পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান,এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দু দিনের দফায় দফায় হামলায় বেশকিছু ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য গত রোববার বিকেলে পুরানবাজারের নতুন রাস্তায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সেলিম ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর খন্দকারের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এ খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর খন্দকারের লোকজনের সাথে সেলিমের লোকজনের সংর্ঘষ বাধে। রাত ১০টায় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে উভয় এলাকায় হামলা চালায়। এসময় সাধারন মানুষের ঘরবাড়ির উপর ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিছুক্ষন পরে ঘটনাস্থলে আসেন এএসপি হেডকোয়াটার শাকিল আহমেদ ও মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামুনুর রশীদ। পরে এএসপি হেডকোয়াটার শাকিল আহমেদের নেতৃত্বে রাত ১টায় পুরানবাজারের বউ বাজার ও কবরস্থান রোড এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।